—ফাইল চিত্র।
নারদ মামলায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন মুকুল রায়। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে আসেন। সূত্রের খবর, এই মামলায় ধৃত আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল, অধুনা বিজেপির এই নেতাকে। নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো চালিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। সিবিআই সূত্রের দাবি, দু’জনের বয়ানে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। ফলে ফের তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
পরে মুকুল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। দুর্নীতিতে যাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাঁকে দিয়েই আমার নাম বলানো হচ্ছে। আমি আইন মান্যকারী নাগরিক। মমতার মতো আমি বলি না, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে সাহায্য করব না। যত বার আমায় ডাকা হবে, তত বার আসব। কিন্তু আবার বলছি, এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই।’’
যা শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘তদন্ত তো সিবিআই করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের প্রভাবিত করবেন কী করে? এ সব ছেলেমানুষি কথা। উনি বোধহয় ভুলে গিয়েছেন, কাঁচরাপাড়া থেকে তুলে এনে মমতা ওঁকে জাহাজমন্ত্রী, সাংসদ করেছিলেন। মমতা না থাকলে তো উনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকও হতে পারতেন না।’’
এ দিকে মুকুলের পরে এ বার নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। গত কাল তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। আজ তাঁকে ই-মেল করা হয়। কিন্তু ম্যাথু এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ম্যাথু এলে তাঁকে মুকুল ও মির্জার সঙ্গে এক সঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
সিবিআইয়ের বক্তব্য, মুকুল ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথুকে মির্জার কাছে যেতে বলেছিলেন। মুকুলের দাবি, তিনি ম্যাথুর কাছ থেকে টাকা নেননি। কিন্তু ম্যাথু বলেছেন, মুকুলের নির্দেশেই তিনি মির্জাকে টাকা দিয়েছিলেন। তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে এই বিষয়টি খোলসা করতে চান তদন্তকারীরা।