নরেন্দ্র মোদী এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলই জিতবে। এমনটা দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এমনও দাবি যে তিনি একা নন, বহু বিজেপি সাংসদও একই মত পোষণ করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কারও নাম করছি না। তবে বিজেপি-র অনেক বড় নেতা হাবেভাবে বার্তা দিয়েছেন যে, এ বার (ত্রিপুরায়) তৃণমূলই আসছে।’’
শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। কল্যাণ সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যে ভাবে ত্রিপুরার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করছেন, তাতে বিজেপি ভীত। তাই এ সব করছে। তবে এ ভাবে মমতাকে আগেও আটকানো যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না।’’ যদিও বিজেপির পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘ইডি, সিবিআই কি নিরপরাধ মানুষের পিছনে ঘোরে? নিশ্চয়ই ওঁরা কিছু করেছেন। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তদন্ত করছেন।’’
সম্প্রতি হরিয়ানার এক জেলাশাসকের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বরুণ গাঁধী। তাতে ওই জেলাশাসককে বলতে শোনা যায়, বেস্টনী পেরলেই আন্দোলনকারীদের মাথা ফাটিয়ে দিতে। কল্যাণ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নরেন্দ্রে মোদীর নীতিই হল বিরোধীদের শেষ করে দেওয়া। হয় ইডি-সিবিআই লাগাও না হলে গুলি করে মেরে দাও। আসলে এরা সব মোদীর বশংবদ। এদের দিয়ে কৃষকদের আন্দোলনও বন্ধ করতে চান মোদী!’’