লালবাজারের বাইরে যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার মা ও বাবা। —নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার মা জবানবন্দি দিলেন আদালতে। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে মৃত পড়ুয়ার মায়ের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তারপর কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে যান মৃতের মা ও বাবা। সেখানেই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের উপস্থিতিতে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের নিয়োগপত্র।
সোমবার নদিয়া থেকে কলকাতায় এসেছিলেন যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার বাবা ও মা। তারপর তাঁরা যান নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সোমবারই মমতা আশ্বাস দিয়েছিলেন মৃত পড়ুয়ার মাকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবারই সেই নিয়োগপত্র হাতে পেলেন তিনি। আশা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন মৃতের মা। এ বার থেকে তিনি নদিয়ার বগুলার হাসপাতালে কাজ করবেন। যে হাসপাতালের নামকরণ হচ্ছে মৃত পড়ুয়ার নামে।
মৃত পড়ুয়ার বাবা বলেন, ‘‘সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, নিয়োগপত্র দেবেন। আজ তা হাতে এল। এত দ্রুত সবটা করার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’’ লালবাজারে পুলিশ কর্তা ও হোমিসাইড শাখার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার বাবা-মা। তাঁরা দু’জনেই আর্জি জানান, যাতে তাঁদের সন্তান বিচার পায় এবং শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিং বন্ধ হয়।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে অভ্যন্তরীণ কমিটির ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দল। ইউজিসি–র নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে র্যাগিং-বিরোধী কমিটি থাকা আবশ্যিক। যাদবপুরে সেই কমিটি ছিল কি না, থাকলে তার কী ভূমিকা, কমিটিতে কে কে ছিলেন, জানতে চাওয়া হয়েছে ইউজিসি-র তরফে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, র্যাগিং-বিরোধী কমিটি থাকলেও যাদবপুরে তা তেমন সক্রিয় নয়। কেন কমিটি অচল, সে বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।