নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মা আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। নিজস্ব চিত্র।
‘ভোট পরবর্তী হিংসায়’ নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মা আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে।
মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল নিহত অভিজিতের মা মাধবী সরকারের। তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হত আদালতে। সেই অনুযায়ী, পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আদালতে আসেন মাধবী। কিন্তু পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে আদালতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মাথা ঘুরে যায়। উপস্থিত পুলিশকর্মী এবং মাধবীর পুত্র বিশ্বজিৎ তাঁকে ধরে ফেলেন। নিকটবর্তী একটি বেঞ্চে বসানো হয় মাধবীকে। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এর আগে অভিজিতের পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাক্ষীকে হুমকি দেন দুষ্কৃতীরা। সোমবার সেই ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। তারা পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করে। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানার পুলিশকে অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিংসার অভিযোগ উঠে ছিল। ওই বছরের ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।