ফাইল চিত্র।
কুয়ো থেকে উদ্ধার নিখোঁজ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের দেহ। তার পরেই গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। রবিবার জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের ইংডং-মাটিয়ালি গ্রামের নাগেশ্বরী চা বাগানে একটি মাটির কুয়ো থেকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জগৎপাল বড়াইকের দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই মেটেলি থানা ঘেরাও করে পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। মৃতের পরিবারের তরফেও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হন মাটিয়ালি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুভাষ বরাইক। গ্রামবাসীদের অনেকের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন করা হয়েছে জগৎপালকে।
পরিবার সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী সুনীতা বরাইক ও কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন জগৎপাল। ফেরার পথে স্ত্রীকে বাড়ি চলে যেতে বলে নিজে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান তিনি। পরিবার জানিয়েছে, জগৎপাল তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। শুক্রবার পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। এর পর রবিবার দেহ উদ্ধারের পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম।
এই ঘটনায় সুভাষ ছাড়াও পবন বরাইক নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে মালবাজারের এসডিপিও রবিন থাপা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে পাঁচ জনকে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।’’ মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মেটেলি ব্লক তৃণমুল সভাপতি জোসেফ মুন্ডা বলেন, ‘‘তিন দিন বাদে উদ্ধার হল জগৎপাল বরাইকের দেহ। দেহ গায়ের করার চেষ্টা করা হয়েছে।। সবাই চাইছে, দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’’