পানিহাটি পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
কোনও ভাবেই নিজেদের দলের পুর প্রধানকে মেনে নিতে রাজি নন পুরপ্রতিনিধিদের একাংশ। দিনকয়েক আগে বোর্ডের বৈঠকও বয়কট করেন তাঁরা। অচলাবস্থা কাটাতে রবিবার পানিহাটির পুর প্রধান, উপ-পুর প্রধান, দলীয় পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়ক।
সূত্রের খবর, এক দিকে পুর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ পুরপ্রতিনিধি। তার উপরে প্রায় এক মাস ধরে ভাগাড় আন্দোলনের জেরে গোটা পানিহাটি আবর্জনার স্তূপে ভরেছে। নিকাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবারও বেহাল অবস্থা। এর জন্য পুর প্রধান মলয় রায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে। তাই পুর প্রধানকে পুরসভা পরিচালনায় সহযোগিতা করতে দলীয় স্তরে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিন সোদপুর গভর্নমেন্ট কোয়ার্টার্সে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে শাসকদলের ৩৩ জন পুরপ্রতিনিধিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ সৌগত রায় ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ। সূত্রের খবর, সেখানে পুর প্রধান বদলের দাবি তোলেন একাংশ। তাতে সাংসদ জানান, এ ভাবে সেটা করা যায় না। দলের শীর্ষ স্তরে বিষয়টি জানালে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। পুরপ্রতিনিধিদের একাংশ দাবি করেন, কয়েক দিনের মধ্যে সেই চিঠি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠাবেন তাঁরা। প্রস্তাব ওঠে, যে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, তাতে উপ পুর প্রধান-সহ পাঁচ চেয়ারম্যান পারিষদ সদস্য ও দলের দুই পুরপ্রতিনিধি প্রবীর ভট্টাচার্য এবং সম্রাট চক্রবর্তী (দু’জনেই দলের শহর সভাপতি পদে রয়েছেন)-কে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। যদিও বিষয়টি দলের ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপার’ বলে এড়িয়ে যান পুর প্রধান। দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায় বলেন, ‘‘বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানি না। দলীয় ব্যাপারে দলের জেলা সভাপতিকে নিশ্চিত ভাবে জানানো উচিত ছিল।’’