শিক্ষক হিসাবেও বেতন পান জীবন। ফাইল চিত্র।
এক ঝটকায় কমে যেতে পারে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বেতনের বড় অংশ। ১৬ এপ্রিল ভোরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার পর থেকেই জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। নিয়োগ দুর্নীতি তো বটেই, আয়-বহির্ভূত ভাবে সম্পত্তি বাড়ানোর অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ও বিধায়ক হিসাবে জোড়া বেতন নেওয়ার।
কিন্তু বিধানসভা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতে থাকা জীবনকৃষ্ণর বেতনের তিন চতুর্থাংশ কমে যেতে পারে। বিধানসভায় বিধায়কের বেতন বাবদ প্রতি মাসে ৮২ হাজার টাকাও যেত তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বিধায়ক হিসাবে ১৮ হাজার টাকা বেতন ছাড়াও, বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির বৈঠকে যোগ দিলে আরও ৬৪ হাজার টাকা পান বিধায়করা। তাই মাসে সব মিলিয়ে মোট ৮২ হাজার টাকা পেতেন জীবনকৃষ্ণ। এ ছাড়াও অধিবেশন চললে অতিরিক্ত ভাতা পেতেন সব বিধায়কের মতোই। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি থাকার কারণে বিধানসভার কোনও কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তিনি। তাই স্বাভাবিক কারণেই তাঁর বেতনের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে। তবে শিক্ষক হিসাবে দীর্ঘ ছুটি নিয়েছিলেন জীবন। তাই সেখান থেকেও বেতন পান তিনি। সেই বেতন বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, তা জানা যায়নি।
জীবনকৃষ্ণের আগে ধৃত দুই তৃণমূল বিধায়কের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করা হতে পারে। বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেফতার হন। বিধানসভার নিয়মে মন্ত্রী থাকাকালীন বিধানসভার কোনও কমিটির সদস্য হওয়া যায় না। তাই গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ শুধুমাত্র পাচ্ছেন ১৮ হাজার টাকা করে। আর পলাশিপাড়ার বিধায়ক মাণিক ভট্টাচার্য আবার বিধানসভার বেশ কয়েকটি কমিটির সদস্য ছিলেন। তাই তিনিও কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি ৮২ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। কিন্তু এখন তিনিও জেল হেফাজতে থাকার কারণে কমিটির বৈঠকে হাজির হতে পারেন না, তাই তাঁকেও সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা পেয়েই। যদিও, জেলবন্দি পার্থ-মানিক-জীবন কেউই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা নিজেদের কাজে লাগাতে পারছেন না জেলবন্দি থাকার কারণে।