প্রতীকী ছবি।
পুলিশের সামনেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কারখানায় ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরের নুরপুরে অ্যালকোহল তৈরির কারখানাটিতে এ দিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদেরই অভিযোগ, ‘কাটমানি’ না-পেয়ে তাঁদের দলের এক শ্রেণির নেতা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যদিও পুলিশের দাবি, হামলা বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিকেরা কিছু দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন। যে দাবি মানতে নারাজ কারখানা কর্তৃপক্ষ।
হুগলি নদী লাগোয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরনো কারখানাটিতে সাড়ে ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। অ্যালকোহল ছাড়াও কার্বন ডাইঅক্সাইড, মাছ ও পশুর খাবার তৈরি হয় এখানে। কারখানার এক কর্ণধার বলেন, ‘‘এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ শ’খানেক দুষ্কৃতী লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কারখানার গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তিন নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করে। ভেঙে ফেলা হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিসিটিভি।’’ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তাঁরা কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। আমপানের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে সবে দিন কয়েক হল সেটি খুলেছে।
কারখানার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তামরেজ আলি শেখ বলেন, ‘‘আমাদের দলের কিছু নেতা কারখানা থেকে কাটমানি পাচ্ছেন না বলেই দুষ্কৃতী পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছেন। যুব তৃণমূল নেতা মেহবুবার গায়েনের নেতৃত্বে হামলা ঘটেছে। হামলার সময়ে রামনগর থানার পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়েছিল।’’ ডায়মন্ড হারবার-২ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মেহবুবা অবশ্য বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমি কোনও ভাবেই যুক্ত নই। এটা শ্রমিকদের ব্যাপার। তাঁরাই অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন।’’
গোটা ঘটনাটি আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি শক্তি মণ্ডল ও রাজ্যের নেতা দোলা সেনকে জানিয়েছেন বলে দাবি তামরেজের। দোলা এ দিন বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে শ্রমিক সংগঠন ও কারখানা কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। ওঁদের কোনও সমস্যা নয়। কথা বলে মনে হয়েছে, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।’’ অন্য দিকে, শক্তির মন্তব্য, ‘‘কারখানায় ভাঙচুর নিন্দনীয় ঘটনা। দলীয় স্তরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’