কালিয়াচকের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারগুলির সঙ্গে ফিরহাদ। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে বিশ্বকাশী মন্দির সংস্কারের কাজের ঠিকা পেয়ে দিন পনেরো আগে বারাণসী গিয়েছিলেন মালদহের কালিয়াচকের কয়েকজন শ্রমিক। সেখানে যে ঘরটি তাঁদের থাকার জন্য দেওয়া হয়েছিল, তার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় শেরশাহি গ্রামের দুই শ্রমিকের। আহত হন ছ’জন। বুধবার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় মৃত বাংলার শ্রমিকদের পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্যও তুলে দেন ফিরহাদ। পাশাপাশি, প্রত্যেক আহতকে পঞ্চাশ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। কালিয়াচকের শেরশাহি গ্রামে এসে ফিরহাদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি এসেছি। রাজ্য সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে।’’
উত্তরপ্রদেশে করোনায় মৃতদের দেহ নদীতে ফেলার সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘বারাণসীর দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও যোগী আদিত্যনাথ সরকার সুবিচার করবে, এমন ভরসা আমরা করি না।’’ ফিরহাদ বুধবার মালদহের সুজাপুর হাসপাতালে মাতৃ মা বিভাগেরও উদ্বোধন করেন।
মালদহে যাওয়ার আগে বুধবার বেলা ১টা নাগাদ ফরাক্কায় আসেন ফিরাহদ। প্রথমে কপ্টারে ফরাক্কা হেলিকপ্টার ময়দানে পৌঁছন। তারপর সড়ক পথে মালদহের কালিয়াচকের উদ্দেশে রওনা দেন। ফরাক্কায় ফিরাহদকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন জঙ্গিপুর সাংসদ খলিরুর রহমান, তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসুমী নূর, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম-সহ মুর্শিদাবাদ ও মালদহের তৃণমূল নেতারা।