হাসপাতালে আহতকে দেখতে বিধায়ক দীনেন রায় নিজস্ব চিত্র
ডাইনি অপবাদে এক প্রৌঢ়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুড়ির নতুন ডাঙ্গা গ্রামে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচখুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাতে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। আহত প্রৌঢ়ার নাম মাদো হাঁসদা (৫৬)।
এই ঘটনার পর বেশ আতঙ্কিত আহতের বৌমা সোনামণি হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন আমার শাশুড়ি, তখন তাঁর উপর ১২ থেকে ১৫ জন মিলে হামলা চালায়।’’ মাদো হাঁসদাকে ডাইনি অপবাদে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ সোনামণির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চার মহিলা-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহলের সুকুমার মুর্মু বলেন, ‘‘যদি এই ধরনের ঘটনা হয়, তা হলে তা ঠিক নয়। বিষয়টি মাঝি বাবাকে জানানো হবে। সকলের সচেতনতা প্রয়োজন।’’ আদিবাসী সংগঠনের ব্লক প্রধান হলেন মাঝি বাবা।
ঘটনাটি জানতে পেরে হাসপাতালে আহতকে দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক দীনেন রায়। তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা সামাজিক সমস্যা। সমাজগত ভাবে এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহলের সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন। ওই মহিলা এর আগেও ঘরছাড়া ছিলেন। যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে দিকে নজর রাখতে হবে।’’
এই ঘটনা নিয়ে মেদিনীপুর সদর মহাকুমাশাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় একটি সচেতনতা শিবির করা হবে, এর পাশাপাশি ওই গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে। ওই মহিলা যাতে বাড়িতে থাকতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে তিনজনের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজত, বাকিদের জেল হেফাজত দেওয়া হয়।