ফাইল চিত্র।
কুরবান শা হত্যা মামলার মূল অভিযোগকারী জহর শা'র সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হল মঙ্গলবার। সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না এ দিন আদালতে জানান জহর। যদিও এর আগে তিনিই আদালতে খুনের ঘটনার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এদিন জহরের এমন আচরণে ভয় ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে উল্টো সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কুরবানের দাদা আফজল। জহর শা’কে ‘হস্টাইল’ ঘোষণা করার আবেদন জানান তিনি আদালতে।
গত বছর জুলাই মাসে শুরু হয় কুরবান শা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। মূল অভিযোগকারী জহর শা'র সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হল এদিন। গত বছর ৭ জুলাই, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২৪ সেপ্টেম্বর ও ১৬ অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে(৩ নম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণ হয় জহরের। সে সময় ঘটনার পক্ষেই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন জহর। এদিন ফের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় জহরের। তাঁকে জেরা করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। আদালতে দাঁড়িয়ে ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন জহর। জহরের এমন উল্টো সাক্ষ্য কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয় বলে জানান নিহত কুরবানের দাদা আফজল শা। তিনি বলেন, ‘‘মামলায় এক অভিযুক্তের টাকার প্রলোভন ও ভয়ের কাছে জহর অনেক দিন আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। উনি আদালতে উল্টো সাক্ষ্য দেওয়ায় আমরা তাই অবাক হইনি।’’
উল্লেখ্য মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে গত এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন জহর। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর কাছে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছিলেন তিনি। মামলা থেকে জহরের সরে দাঁড়ানোর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘‘মামলা চালাতে গেলে জহর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। আফজল শা যেহেতু কুরবান শা'র নিজের দাদা।তাই তাঁকে মামাল চালানোর অনুমতি দেওয়া হল।’’
এদিন জহর উল্টো সাক্ষ্য দেওয়ায় তাঁকে ‘হস্টাইল’ বা বিরূপ ঘোষণা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান আফজলের আইনজীবী।আইনজীবী অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জহরএর আগে খুনের ঘটনার সপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আজ উনি অভিযুক্ত পক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।ওঁকে হস্টাইল ঘোষণার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী ২০ অগস্ট মামালার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে।’’