প্রতীকী ছবি।
গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে এক বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার বিকেলে খড়্গপুরের একটি এলাকা থেকে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে গ্রামীণ থানার পুলিশ। ধৃত তারাশঙ্কর দে-সহ ওই তিনজন যুবকের বাড়ি ওই এলাকাতেই।
শনিবার রাতে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বছর আটত্রিশের ওই মহিলা। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে বাড়িতে হামলা চালায় যুবকেরা। তার পরে বাড়িতে ঢুকে তিনজন মিলে ধর্ষণ তাঁকে করে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নির্যাতিতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তার পরে এ দিন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর নয়েক আগেই ওই মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন। সেই সময় ওই মহিলা অন্য এলাকায় থাকতেন। পরে তিনি অন্যত্র বাড়ি করে চলে যান। সেই সূত্রেই তারাশঙ্করের সঙ্গে তাঁর আলাপ ছিল বলে পুলিশের দাবি। বছর কয়েক ধরে বিধবা ওই মহিলা অন্য এক যুবকের সঙ্গে থাকেন বলেও জানা গিয়েছে। মহিলার তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর এক মেয়ে ও এক ছেলে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে।
মহিলার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। সেই সময়েই বাড়িতে দলবদল নিয়ে হামলা চালায় তারাশঙ্কর। ফাঁকা বাড়িতে মহিলা একা থাকার সুযোগে বাড়িতে ঢুকে তারাশঙ্কর, সুমন ও বিল্টু নামে ওই তিন যুবক মহিলাকে ধর্ষণ করে। পরে মহিলার চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে আসতেই অভিযুক্ত ওই যুবকেরা বাইক ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন মহিলা। শনিবার রাতে থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ জানান। মহিলার ভাই বলেন, “স্বামী মারা যাওয়ার পরে বছর পাঁচেক ধরে এক যুবকের সঙ্গে দিদির সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এই যুবকেরা নানা সময়ে চাঁদা চাইতে এসে জুলুম করে। ওই দিন বাড়িতে দিদি একা থাকার সুযোগে ওরা এসে হামলা চালায়। তার পরে তিনজন দিদিকে ধর্ষণ করে।” তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।