বিজেপির অন্দরেই চলছে প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র
কেন ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের’ দলে নেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠতেশুরু করেছে দলের অন্দরে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পোস্টার দেওয়ার পাশাপাশি পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। চন্দ্রকোনা বিজেপির মণ্ডল কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপিরক্ষুব্ধ কর্মীরা। যদিও সেই বিক্ষোভকে আমল দিতে নারাজ মণ্ডল নেতৃত্ব। দু’দিন আগে চন্দ্রকোনায় শুভেন্দু অধিকারীর জনসভার পর সেখানেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কর্মীরা। ১৬ তারিখ চন্দ্রকোনা পৌরসভার খেজুরডাঙ্গা মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা ও যোগদান মেলায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন বেশকিছু নেতা। ওইদিন বিজেপিতে যোগদান করেন চন্দ্রকোনা ১ নং ব্লকের ক্ষীরপাই পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা কমিটির সদস্য গৌতম ভট্টাচার্য-সহ বেশকিছু তৃণমূল নেতা। তারপর থেকেই প্রকাশ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হওয়ায় বিপাকে বিজেপি-র নেতৃত্ব। দলেরই মণ্ডল কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে, বিক্ষোভ দেখিয়ে, পোষ্টারিং করেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী।
গৌতমবাবুর বিজেপিতে যোগদান করার খবরে ক্ষুব্ধ চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই মণ্ডল বিজেপির এক গোষ্ঠী। দলের মণ্ডল সভাপতি সুশান্ত মণ্ডল নিজের স্বার্থপূরনের জন্য তৃণমূলের দূর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দলে যোগদান করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। কোনও ভাবেই সেই সব নেতাদের দলে নেওয়া মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন ওই ক্ষুদ্ধ নেতারা।
তাঁদের দাবি, মণ্ডল সভাপতিকে সরাতে হবে। তা না হলে দলীয় কার্যালয় খোলা হবেনা বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা।চন্দ্রকোনা ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় পাত্র বলেন, ‘‘যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের আবর্জনা।সব লুটেপুটে খেয়ে তারা বিজেপিতে গিয়েছেন।বিজেপির কোন্দল তাঁদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে কিছু না বলাই ভাল।’’সুশান্ত জানান, ‘‘দলে যোগদানের বিষয়টি মণ্ডল কমিটির সঙ্গে আলোচনা পরেই নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’