পর্যটকদের সরাতে মাইকে প্রচার প্রশাসনের। — নিজস্ব চিত্র।
যত সময় গড়াচ্ছে ততই রং বদলাচ্ছে দিঘার সমুদ্র। রবিবার সমুদ্র ছিল শান্ত। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার আবহাওয়াও ছিল পরিষ্কার। কিন্তু রাত পেরোতেই তা বদলে গিয়েছে। দিঘার আকাশ এখন মেঘলা। সকাল থেকে শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। উত্তাল সমুদ্রও। সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানলে পরিস্থিতির আরও ভয়ঙ্কর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে প্রশাসন। সৈকতমুখো হতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের।
রবিবারের চেয়ে সোমবার দিঘার সমুদ্র এমনিই উত্তাল। এর উপর রবিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে জোয়ার আসে সমুদ্রে। তার জেরে জলস্ফীতি দেখা দেয়। সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতে নিরাপত্তাও ছিল দেখার মতো। সমুদ্রে পর্যটকদের নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের গার্ডওয়ালের কাছাকাছি আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য মাইকে লাগাতার চালানো হচ্ছে প্রচারও। রামনগর-১ ব্লকের বিডিও রিপন তালুকদার বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনও সমস্যা হলে আমরা তৈরি। কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। কিছু মানুষকে সরানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। পাশাপাশি, পর্টকদেরও সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূলেও আসতে বারণ করা হয়েছে। আমরা উপকূলবর্তী এলাকা থেকে পর্যটকদের সরাচ্ছি।’’ দিঘা এবং দিঘা কোস্টাল থানার তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে উপকূলবর্তী এলাকার গ্রামেও।
সোমবারও সপ্তাহের শুরুর দিন হলেও দিঘায় পর্যটকদের সংখ্যা প্রচুর। তবে তাঁদের হোটেলে থাকায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। উপকূলে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-ও। এনডিআরএফ-এর সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের সাব ইন্সপেক্টর মণীশ দুবে বলেন, ‘‘প্রচুর বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে। তাই আমরা মানুষজনকে সতর্ক করছি।’’