এই বাড়িতেই থাকতেন যুবক। -নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর বিধানসভার শালবনী থানার বাগমারি এলাকায় শুক্রবার সকালে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি-র অভিযোগ, ওই যুবক তাঁদের কর্মী। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম লালমোহন সরেন (৩০)। বাড়ি বাগমারির জোড়া কুশমি গ্রামে। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি গাছে। গত তিন-চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জেনেছে, লালমোহন শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর তাঁর আর কোনও খোঁজ ছিল না। শুক্রবার সকালে ওই এলাকারই একটি গাছে ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। তাঁকে খুন করা হয়েছে, নাকি তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে শালবনী থানার পুলিশ।
মাত্র তিনমাস আগে বিয়ে হয়েছিল লালমোহনের। চাষাবাদ করেই সংসার চালাতেন তিনি। পাশাপাশি টুকটাক কাজ করেও উপার্জন করতেন। তবে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী ফুলমনি। মৃত্যুর খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছেছে বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমিতকুমার দাশ।
শমিত বলেন, “খুবই ভাল ছেলে ছিল। অনুমান, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ এ দিকে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘খেলা হবে বলছিল তৃণমূলের নেতারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাকলেও বাইরে থাকছে রাজ্য পুলিশ। মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার খেলা শুরু করেছে।’’ বিজেপি-র জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি বলেন, ‘‘যে ভাবে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে অনুমান খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হচ্ছে।’’
এ দিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, ‘‘মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। লালমোহন বিজেপি কর্মী ছিলেন না। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।