ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট বাঁধ থেকে ছাড়া হল জল। শনিবার। ছবি: চন্দন পাল
টানা বৃষ্টির জেরে মহালয়ার দিনেই জল বাড়তে শুরু করল শিলাবতীতে। এ বার বর্ষাকালে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় ঘাটালে বন্যা হয়নি। তবে পুজোর মুখে টানা বৃষ্টিতে কী হবে—দেবীপক্ষের শুরুতে সেই চিন্তাই এখন ঘুরছে ঘাটালের আকাশে-বাতাসে।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন দিনে শিলাবতী নদীতে দু’ফুট জল বেড়েছে। ঘাটালের অন্য নদী-খালগুলিতেও ওই পরিমাণ জল বেড়েছে। বাঁকুড়া-পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সেই জল ঢুকে জল আরও বাড়তে পারে। ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে মেদিনীপুরের বাকি দুই প্রধান নদী কংসাবতী ও সুবর্ণরেখার জলও বাড়তে শুরু করেছে। তবে সেচ দফতর জানিয়েছে, জল স্তর এখনও বিপদসীমা ছোঁয়নি। মেদিনীপুরে মোহনপুরের কাছে কংসাবতীর জলস্তর মাপা হয়েছে। সুবর্ণরেখার জলস্তরও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে তবে ঝাড়খণ্ডের ব্যারাজ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা।
সেচ কর্তাদের দাবি, জামসেদপুরের চাণ্ডিল বাঁধের জলস্তর বাড়ায় দু’টি গেট খোলা হয়েছে। দামোদর নদীর জল বাড়ায় জলস্তর বেড়েছে বোকোরোর তেনুঘাট বাঁধের। তেনুঘাটের তিনটি গেট খোলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। সেই জল চাষের কাজের সুবিধা করবে। শনিবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এমনিতেই দুর্গাপুর, বর্ধমানের দিকে জল অনেক কম রয়েছে। তাই তেনুঘাটের জল ছাড়ায় কোনও সমস্যা নেই। ওই জল সেচের কাজে ব্যবহার করা হবে।’’
রাজ্যের সেচ দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট বাঁধ থেকে ২৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেই জল শনিবার পাঞ্চেত বাঁধে এসে পৌঁছেছে। এ দিন বিকেল ৪টা নাগাদ মাইথন থেকে ৯ হাজার এবং পাঞ্চেত বাঁধ থেকে ১৪ হাজার মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। রবিবার সকালে তা দুর্গাপুর ব্যারেজ এসে পৌঁছবে । সেখান থেকে ৯ হাজার কিউসেক জল বিভিন্ন খালের মাধ্যমে বাঁকুড়া, দুর্গাপুর, বর্ধমান, সিঙ্গুরের দিকে পাঠাবে সেচ দফতর। আর বাকি জলের মধ্যে সম্ভাব্য ১৪ হাজার কিউসেক পাঠানো হবে দামোদরে।