রবিবার হরিপুরের দেবীপুর হাই স্কুলের মাঠে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেন বিজেপি নেতৃত্ব। ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। তার আগে আচমকাই রবিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ঢাকঢোল বাজিয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে দেওয়া হল। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির ৩ আসনের প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু কেন এত আগে থেকে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা।
রবিবার হরিপুরের দেবীপুর হাই স্কুলের মাঠে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলীয় নেতা মেঘনাদ পালের নেতৃত্বে এই সভায় হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল থেকে আসা বেশ কয়েক জন কর্মীকে বিজেপিতে যোগদানও করানো হয়। মেঘনাদের দাবি, “প্রার্থিতালিকা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে এখন থেকেই জন সংযোগের ওপর জোর দিচ্ছি আমরা। মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকার বার্তাও দেওয়া হবে।’’
মেঘনাদের আরও বলেন, “আমরা এই এলাকায় সঙ্ঘবদ্ধ রয়েছি। সারা বছর আমরা নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে এই এলাকায় কাজ করি। আজ যে ১৪টি আসনে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সব ক’টিতেই আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করব। এর পাশাপাশি ৩টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনেও আমরা জিতব।” তবে এত তাড়াহুড়ো করে কেবল ১টি পঞ্চায়েতে প্রার্থিতালিকা কেন প্রকাশ হল, সেই বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিজেপির এই প্রার্থিতালিকা প্রকাশ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা পূর্ব মেদিনীপুরে দলের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ভয় পেয়ে এ সব করছে। প্রার্থী হিসাবে যাঁদের নাম ঘোষণা করা হল, চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সময়ে তাঁরাই প্রার্থী থাকবেন তো?’’