পাঁশকুড়ার সমবায় নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় পেল সিপিএম। নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে রাজ্যের শাসক শিবিরকে পরাস্ত করেছে বাম-কংগ্রেস। সেই মডেলকে হাতিয়ার করে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের নির্বাচনেও তৃণমূল এবং বিজেপিকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে জোট। এ বার পাঁশকুড়ার সমবায় নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় পেল সিপিএম। যশোড়া কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটির নির্বাচনে সিপিএমের দখলে গিয়েছে ৫টি আসন। অন্য দিকে, তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ৪টিতে। বিজেপির ঝুলিতে শূন্য আসন।
সমবায় সূত্রে খবর, এই সমবায়ের ৯টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ৪টি আসনে। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা ৫টি আসনে জিতেছেন। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের পাঁশকুড়া বাজার এরিয়া কমিটির সম্পাদক নিতাই সন্দিগ্রাহী বলেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে কোনও রকম বোঝাপড়া না করেই আমরা তৃণমূলকে টক্কর দিয়ে ৫টি আসন জিতেছি। ২টি আসনে কয়েকটি ভোটের ব্যবধানে হেরেছি। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকার মানুষেরা বামেদের উপর ভরসা রেখেছেন। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ভোটের প্রভাব পড়বে বলেই আমরা আশাবাদী। ওরা (শাসক তৃণমূল) গায়ের জোরে বোর্ড দখল করতে চাইলে এলাকার মানুষ তা রুখে দেবেন।’’
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, বোর্ড তারাই গঠন করবে। পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুজিত রায়ের দাবি, ‘‘আমরাই এখানে বোর্ড গঠন করব। কারণ, বিরোধী ভোট হিসাব করলে দেখা যাবে, আমাদেরই পাল্লা ভারী। এখানে সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাঁত হয়েছে। আপনারা দেখবেন, বোর্ড গঠনের সময় আমরাই ক্ষমতা দখল করব।’’
অন্য দিকে, বিজেপির কেশাপাট মণ্ডলের সভাপতি গোপাল সাহু বলেন, ‘‘এই সমবায় বামেদের আমলে তৈরি। তা ছাড়া দীর্ঘ দিন এই সমবায়ে কোনও নির্বাচন হয়নি। প্রথম বার বিজেপি ৪টে আসনে লড়াই করেছে। আগামী দিনে বিজেপি পুরো দস্তুর ক্ষমতায় আসবে বলেই আমরা আশাবাদী।’’