দিঘা।—প্রতীকী ছবি।
‘সেভেন-ডি’ শো শুরু হয়েছে দিঘায়। খবরে আর লোকমুখে তা শুনেছিল পাঁশকুড়ার হাউর পঞ্চায়েত এলাকার দুই কিশোর। দেখার ইচ্ছাও জেগেছিল তাদের। কিন্তু বাবা-মা’কে জানিয়ে লাভ হয়নি। তাই ইচ্ছাপূরণে রবিবার দুই বন্ধু নিজেরাই চেপে বসেছিল দিঘার বাসে। ইচ্ছাপূরণও হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই ঘটল বিপত্তি!
পথ হারানো দুই বন্ধুকে রবিবার রাতে রামনগর বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষে পুলিশের সাহায্যে বাড়ি ফিরেছে দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনরেই বয়স ১২ বছর। বাবা-মা তাদের ‘সেভেন-ডি’ শো দেখার আব্দার না মেটানোয় দুজনেই চলে এসেছিল দিঘা। সেখানে রবিবার সারাদিন পার্কে ঘুরে বেড়ায় তারা। তারপর দেখে ‘সেভেন ডি’ শো। ফেরার সময় পথভ্রষ্ট হয় তারা। ভুল করে নেমে পড়েছিল রামনগরে। তারপর অচেনা পরিবেশে হকচকিয়ে যায় দুই নাবালক।
রামনগর বাজার এলাকায় দু’জনকে ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দা এবং নৈশ টহলদারি পুলিশের। পুলিশ দুই বন্ধুকে রামনগর থানায় নিয়ে যায়। থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, দু’জনে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। শুধু তাই নয়, পালানোর সময় বাড়ি থেকে ৭২০ টাকাও সঙ্গে নিয়েছিল। দু’জনের বাড়ির ঠিকানা জেনে পুলিশ তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সোমবার সকালে দু’জনকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কয়েকদিন আগেই কাঁথি-১ ব্লকের দুলালপুর এবং বেতগাছিয়া গ্রামের তিন কিশোর বাড়ি থেকে না বলে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিল। তারাও রামনগর বাজার এলাকায় মোবাইল ফোন কিনতে এসে ধরা পড়ে যায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে। পরে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এ ভাবে বারবার স্কুলপড়ুয়া কিশোরদের বাড়ি থেকে পালানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তারা।
কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্কুলস্তরে অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের এক সঙ্গে বসিয়ে কাউন্সেলিং করতে হবে। পড়ুয়ারা যাতে সমাজের মূল স্রোত থেকে না দূরে সরে যায়, সে জন্য বাবা-মাকেও সজাগ থাকা জরুরি।’’