বেশ কয়েকটি ট্রেনের গতিও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী। —প্রতীকী চিত্র।
নতুন বছরে বদল ঘটল পূর্ব রেলের বহু ট্রেনের সময়সূচিতে। ১ জানুয়ারি থেকে শুধু লোকাল নয়, এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচিতেও বদল হয়েছে। কোনও ট্রেন আগের তুলনায় কিছুটা দেরিতে চলবে। কয়েকটি ট্রেনের ছাড়ার সময় আবার এগিয়ে আনা হয়েছে। দার্জিলিং মেল, গৌড় এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের সময়সূচিতে হয়েছে বদল।
বেশ কয়েকটি ট্রেনের গতিও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী। পরিবর্তিত সূচিতে ৬৩টি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের সময় ৫ মিনিট থেকে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত কমানো হয়েছে। আটটি মেমু, ডিএমইউ এবং ইএমইউ ট্রেনের ক্ষেত্রে সফরের সময় ৬ মিনিট থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। কিছু ট্রেনের নম্বরও বদল করা হয়েছে।
বুধবার থেকেই বেশ কিছু নতুন ট্রেন চালু হওয়ার পাশাপাশি কিছু ট্রেনের ছাড়ার এবং গন্তব্যে পৌঁছনোর সময় বদলে গিয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, দার্জিলিং মেল রাত ১০টা ৫ মিনিটের পরিবর্তে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে। আবার গৌড় এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে ১০ মিনিট। রাত ১০টা ১৫ মিনিটের পরিবর্তে শিয়ালদহ থেকে মালদহ যাওয়ার এই ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
কোনও এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে ৫ মিনিটের সময়বদল হয়েছে। কোনও কোনও ট্রেনের ক্ষেত্রে আবার হেরফের ২০-২৫ মিনিটের। যেমন, হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র মেলের সময়সূচিতে ২০ মিনিট অদলবদল হয়েছে। হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় ২০ মিনিট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র মেল ছাড়ার সময় ২০ মিনিট এগিয়েছে। আবার হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটির ছাড়ার সময় ৭৫ মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে। দুপুর ৩টে ১৫ মিনিটের পরিবর্তে, সেটি ছাড়বে দুপুর ২টোয়।
পূর্ব রেলের বর্ধমান মেন এবং কর্ড শাখা ছাড়াও নৈহাটি-সহ বেশ কিছু শাখায় তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইন চালু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নত হওয়ার কথা মাথায় রেখে পরিবর্তিত সূচিতে বেশ কিছু নতুন ট্রেন চালু করার পাশাপাশি একাধিক ক্ষেত্রে ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হয়েছে। কৃষ্ণনগর সিটি-রানাঘাটের মধ্যে নতুন একটি লোকাল চলছে ১ জানুয়ারি থেকে। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে কৃষ্ণনগর সিটি স্টেশন থেকে ছাড়বে ট্রেনটি। পাশাপাশি, দু’টি হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত হচ্ছে। একটি তারকেশ্বর এবং অন্যটি হরিপাল পর্যন্ত চলবে।