নিজস্ব চিত্র।
হাতি রুখতে গিয়ে প্রাণ গেল হুলা পার্টির দুই সদস্যের। ঘটনায় আহত হয়েছেন চার জন। শুক্রবার ভোরে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের রামরমা বিটের বড়বাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে । হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে তিলকা মুর্মু (১৮) এবং গৌরাঙ্গ মাহাতো (৩৪)-র। দু’জনেই হুলা পার্টির সদস্য। তাঁদের দু’জনের বাড়ি ঝাড়গ্রাম থানার মোহনপুর এলাকায়। এর পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝাড়গামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লোধাশুলী রেঞ্জের ভাওদা এলাকায় ১৫টি হাতির একটি দল বেশ কয়েক দিন ধরে ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে হাতির দলটিকে তাড়াতে শুরু করেন বন দফতরের কর্মী ও লোধাশুলী রেঞ্জের ৩০ জন হুলা পার্টির সদস্য। হাতির দলটিকে ভাওদা থেকে বাঁশতলা হয়ে কংসাবতী নদী পার করিয়ে চাঁদড়ার জঙ্গলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-টাটানগর শাখার রেল লাইন পার করিয়ে বড়বাড়ি এলাকায় ঢুকিয়েও দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেই সময় একটি হাতি দল থেকে ছুটে আসে হুলা পার্টির সদস্যদের উপর আক্রমণ চালায়। ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হুলা পার্টির সদস্য সন্তোষ রানা বলেন, ‘‘হাতির দলকে ড্রাইভ করার সময় একটি হাতি হঠাৎ করে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। হাতিটি আমাদেরকে মাটির সঙ্গে পিষে দেয়। সেখানেই আমাদের দু’জন হুলা পার্টির সদস্যের মৃত্যু হয় এবং আমরা বেশ কয়েক জন আহত হয়েছি। আমি পিঠে গুরুতর ভাবে আঘাত পেয়েছি।’’
হাতির হানায় আক্রান্তদের উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হুলা পার্টির দু’জন সদস্যকে মৃত ঘোষণা করেন। কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কেবল সন্তোষই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশি বলেন, ‘‘বনদফতর এবং হুলা পার্টি সদস্যেরা একযোগে হাতির দলটিকে ড্রাইভ করছিল। সেই সময় একটি হাতি তাঁদের উপর হামলা চালায়। ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।’’