TMC

কার্যালয় ‘পুনর্দখল’ তৃণমূলের 

কাঁথির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রূপশ্রী সিনেমা হলের সামনে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের একটি দফতর ছিল। সেখানে বসতেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কণিষ্ক পণ্ডা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৪৪
Share:

কার্যালয়ের লাগানো হচ্ছে তৃণমূলের পতকা।

সপ্তাহ দুয়েক আগে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই জেলা রাজনীতিতে শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীর সঙ্গে কার্যত ‘লড়াই’ শুরু হয়েছিল তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মীদের। অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূলের একাধিক কার্যালয় ‘দখল’ করছে ‘দাদার অনুগামী’রা। তাতে রাতারাতি গেরুয়া রংও করছে তারা।

Advertisement

বুধবার বিধায়ক পদ এবং বৃহস্পতিবার তৃণমূল থেকে সরে যাওয়ার পরেই কাঁথি শহরে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ‘দখল’ হওয়া কার্যালয়গুলি পুনরুদ্ধার করা শুরু করল তৃণমূল।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁথির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রূপশ্রী সিনেমা হলের সামনে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের একটি দফতর ছিল। সেখানে বসতেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কণিষ্ক পণ্ডা। গত শনিবার ব্যবসায়ী সমিতির অফিসের দেওয়ালে গেরুয়া রং করা হয়। এর পরেই কণিষ্ককে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

এ দিন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কার্যালয়ের দেওয়ালের গেরুয়া রং মুছে তাতে দেওয়া হয় নীল-সাদা রঙের প্রলেপ। তৃণমূলের কর্মীরা অফিসের দেওয়ালে লাগানো শুভেন্দুর ছবি সরিয়ে সেখানে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগান। ওই অফিস ‘পুনর্দখল’ করার পর তৃণমূল নেতা তরুণ জানা বলেন, ‘‘ব্যবসায়ী সমিতির অফিস থেকে কোনও ভাবেই বিজেপির রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না। তাই ব্যবসায়ী সংগঠনের অফিসের দেওয়ালে গেরুয়া রং মুছে দেওয়া হয়।’’ এ নিয়ে কণিষ্ক বলেন, ‘‘শুধু দেওয়ালের বাইরে নীল-সাদা রং চড়িয়ে দিয়েছে। অফিসের ভিতরে তো আমি বসেছি। স্থানীয়দের সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কোথাও তৃণমূলের দেখা মেলেনি।’’

৮ নম্বর ওয়ার্ডের অদূরে শহরের থানাপুকুর পাড়ে বুধবার রাতে তৃণমূলের একটি ওয়ার্ড কার্যালয় ‘দখল’ করে সেখানে দাদার অনুগামীরা গেরুয়া রং লাগাচ্ছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা দেখতে পেয়ে তাঁদের বাধা দেন। এরপর দু'পক্ষের মধ্যে বচসা এবং মারামারি হয়। সে সময় একজন দাদার অনুগামী আহত হন বলে খবর। স্থানীয় সূত্রের খবর। ওই ওয়ার্ড কার্যালয়ে তৃণমূলের দলীয় কাজকর্মের পাশাপাশি একটি অঙ্গনওয়াড়িও চলে। এদিন যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী গিয়ে কার্যালয় ‘পুনর্দখল’ করেন। লাগানো হয় তৃণমূলের পতাকা। সুপ্রকাশ বলেন, ‘‘রাতে দুষ্কৃতীরা দলীয় কার্যালয় দখল করে বিজেপির পার্টি অফিস বানাতে চাইছিল। এ দিন দলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পার্টি অফিস দখল মুক্ত করেন।’’

কাঁথির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শেরপুর তেলেঙ্গাবাড় এলাকাতেও তৃণমূলের একটি কার্যালয়ের সামনে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন সকালে সেখানেও পাল্টা দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অতনু গিরির প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement