তখনও একই মঞ্চে ছিলেন সাংসদ ও বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র
পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মেলা উদ্বোধনের মঞ্চে হাজির থাকায় কোপে পড়তে হয়েছে এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসকে। দলের তরফে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। তড়িঘড়ি সরানো হয়েছে তৃণমূলের এগরা ১ ব্লক সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরাকেও।
এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়েও একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের সঙ্গে একই মঞ্চে শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক বাঁধল। বিজেপি সাংসদকে দেখে তড়িঘড়ি মঞ্চ থেকে নেমে যান তৃণমূল বিধায়ক।
গোয়ালতোড়ের মাকলি অঞ্চলের পেড়ুয়াবাদ কালাবতি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল শনিবার। সেখানেই এলাকার বিধায়ক ও সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড়টা নাগাদ অনুষ্ঠান মঞ্চে আসেন সাংসদ কুনার হেমব্রম। কুনার মঞ্চে থাকাকালীন দুপুর ২টো নাগাদ আসেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। মঞ্চে উঠে নির্দিষ্ট চেয়ারে বসার পরেই সাংসদকে দেখতে পান বিধায়ক। সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চ থেকে নেমে স্কুলের ভিতরের ঘরে গিয়ে বসেন। তারপরে আর মঞ্চে ওঠেননি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য বিধায়কের নাম ঘোষণা করা হলেও তিনি আর মঞ্চে উঠেননি। সাংসদই প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
শ্রীকান্তের দাবি, ‘‘উনি (সাংসদ) থাকবেন বলে আমি জানতাম না। স্কুলে গিয়ে মঞ্চে উঠে ওনাকে দেখতে পেয়েই সঙ্গে সঙ্গেই নেমে আসি। উনি থাকবেন জানলে আসতাম না। এনিয়ে বিতর্ক খোঁজা অর্থহীন।’’ বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক এসেছিলেন। তবে উনি বেশিক্ষণ থাকেননি। মঞ্চে প্রদীপ জ্বালানোর সময় মাইকে ঘোষণা করা সত্বেও উনি আসেননি। আমরা সবসময়ে সৌজন্যের রাজনীতিই করি।’’
বিজেপি সাংসদের সঙ্গে একই মঞ্চে দলের বিধায়ক থাকার জন্য কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘দলের নিয়ম তো সবার জন্য একই। দল যদি মনে করে শাস্তিযোগ্য তাহলে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেক্ষেত্রে আমার কাছে প্রস্তাব এলে তা দেখা হবে।’’