বাবা ধার শোধ করতে না পারায় কন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
৬০ হাজার টাকা ধার করেছিলেন যুবক। সময়ে তা শোধ করতে পারেননি। সুদ অনুযায়ী অল্প অল্প করে টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকা বলা হয়, সুদে-আসলে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে তাঁকে। তা দিতে না পারায় যুবকের সাত বছরের কন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বালিকাকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
গুজরাতের সবরকাঁথা জেলার ঘটনা। সেখানেই দিনমজুর হিসাবে কাজ করতেন যুবক। সংসারের প্রয়োজনে এক বার অর্জুন নাট নামের এক যুবকের কাছ থেকে তিনি ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। মাসে মাসে তার সুদও দিতেন। কিন্তু অভিযোগ, অর্জুন এসে জানান, সুদে-আসলে তাঁকে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে। তা দিতে না পারলে যুবককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের কাগজেও তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। এই কাজে অর্জুনকে সঙ্গ দিয়েছিলেন শরিফা নাট এবং লাখপতি নাট।
অভিযোগ, ব্যাঙ্কের কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যে যুবকের সাত বছরের কন্যাকে অপহরণ করা হয়। তার পর তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয় রাজস্থানের এক ব্যক্তির কাছে। বালিকাকে বিক্রি করে তাঁরা তিন লক্ষ টাকা পান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর থানায় না গিয়ে যুবক সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে পদক্ষেপ করে পুলিশ। তিন জনকে গ্রেফতার করে তাঁদের কাছ থেকে বালিকার খোঁজ জেনে নেন তদন্তকারীরা। রাজস্থানে যাঁর কাছে বালিকাকে বিক্রি করা হয়েছিল, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক এসবি চৌধরি জানিয়েছেন, তিন লক্ষ টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। যে ব্যাঙ্কের কাগজে যুবককে সই করতে বাধ্য করানো হয়েছিল, সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।