ghatal

বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক অরূপ

পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। তার মধ্যে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ অন্যতম। সেখানে দিদির দূত হিসাবে এলাকায় যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫০
Share:

অরূপকে ঘিরে বিক্ষোভ তখন চলছে। নিজস্ব চিত্র

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া। শুক্রবার চন্দ্রকোনার মহেশপুরে এক মাজারে গিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন বিধায়ক। এরপরই সেখান থেকে ফেরার সময় দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিধায়ককে। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বিধায়ক আগে মহেশপুর কেন গেলেন। প্রথমেই মুড়াকাটা গ্রামে কেন গেলেন না। মিনিট কুড়ি পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মুড়াকাটা মসজিদে যান তিনি।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। তার মধ্যে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ অন্যতম। সেখানে দিদির দূত হিসাবে এলাকায় যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বেরা। দুপুরে খাওয়া দাওয়া, স্কুল-বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-সহ বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন তাঁরা। এ দিন ওই কর্মসূচিতে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় যান চন্দ্রকোনার বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি প্রসূন ঘোষ, দলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, স্থানীয় প্রধান ইসমাইল খান-সহ অন্য নেতৃত্বরা। বিধায়ক এ দিন প্রথমে মহেশপুরে এক মাজারে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় মহেশপুর এলাকাতেই বিধায়কের সামনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দলীয় কর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বিধায়ক কেন মুড়াকাটা না গিয়ে প্রথমে মহেশপুরে গেলেন। মুড়াকাটায় সকাল থেকেই দলীয় কর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন। তার জেরেই ক্ষোভ তৈরি হয় বলে খবর। যদিও এরপর কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অরূপ মুড়াকাটাও যান। তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। সেখান থেকে স্থানীয় স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান বিধায়ক। দুপুরে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া সেরে গ্রামে গ্রামে ঘুরেন।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ভগবন্তপুরে দলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের সঙ্গে ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইসমাইল খানের বিরোধ নতুন নয়। রামকৃষ্ণ বিধায়ক অরূপের অনুগামী। ইসমাইলের সঙ্গেও বিধায়কের যোগাযোগ রয়েছে। ইসমাইল এক সময় চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালালের অনুগামী ছিলেন। এই মুহুর্তে ইসমাইল বিধায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ালেও স্থানীয় স্তরে রামকৃষ্ণ-ইসমাইলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিধায়কের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় দলীয় নানা সিদ্ধান্ত রামকৃষ্ণের মতামত গুরুত্ব পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে। এ দিন তাই বিধায়কের সঙ্গে রামকৃষ্ণকে দেখেই ইসমাইল অনুগামীদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেন বলে খবর। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ তৃণমূল। বিধায়ক অরূপ বলেন, “গোলমাল হয়নি। সকলে দলের কর্মী। কোন গ্রামে আগে যাব, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। ঠিকঠাক ভাবেই কর্মসূচি হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement