—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়হককে মারধর এবং অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল নেতার নাম নিখিল সিংহ। তিনি ভুলাভেদার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। পাকড়াও হয়েছেন তাঁর গাড়িচালক নির্মল সোরেনও। শুক্রবার ধৃত দু’জনকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়িতে পঞ্চায়েতের এক নির্মাণ সহায়ককে মারধর করে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বেলপাহাড়ি ব্লক অফিস চত্বরে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, ভুলাভেদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক বিডিও অফিসে বিভাগীয় কাজে যান। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের উন্নয়ন সংক্রান্ত মিটিং শেষে ক্যান্টিনে খাওয়া দাওয়া সেরে তিনি বেরোতে যাবেন, এমন সময় ভুলাভেদা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি নিখিল-সহ কয়েক জন তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করতে থাকেন বলে অভিযোগ। ভুলাভেদা গ্রাম পঞ্চায়েতে টেন্ডার পাওয়া নিয়ে নির্মাণ সহায়ককে বার বার চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করে একটি গাড়িয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে গাড়িতে ফেলে রেখেই চম্পট দেন অভিযুক্তরা। এর পর নির্মাণ সহায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে মারধর, খুনের চেষ্টা, অপহরণের চেষ্টা ইত্যাদি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
শুক্রবার আদালত চত্বরে অঞ্চল সভাপতি নিখিল দাবি করেন, অপহরণের চেষ্টা তাঁরা করেননি। টেন্ডার নিয়ে কথ বলার জন্য পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই মামলা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী অনিল মণ্ডল বলেন, ‘‘বেলপাহাড়ির এই ঘটনায় দু’জনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গড়াই জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর, অপহরণের চেষ্টা এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।