শান্তিনিকেতনে রাজ্য সরকার করবে বিকল্প পৌষমেলা। — ফাইল ছবি।
বন্ধ শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। কিন্তু বিকল্প পৌষমেলা করবে রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক বিধান রায় এবং সভাধিপতি কাজল শেখের তত্ত্বাবধানে একটি বৈঠক শুক্রবার একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রথমে মেলার আয়োজন করার জন্য বিশ্বভারতীর কাছ থেকে পূর্বপল্লীর মাঠ চেয়ে আবেদন করবে রাজ্য সরকার৷ মাঠ না পেলে, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো মাঠেই হবে বিকল্প পৌষমেলা।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ বারও হচ্ছে না পৌষমেলা। ২০১৯ সালের পর আর বসেনি মেলা৷ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষের পর সকলেই আশা করেছিলেন, এ বার শীতে বোধহয় পৌষমেলা ফিরবে শান্তিনিকেতনে। কিন্তু, মেলা না হওয়ায় হতাশ সকলেই৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গত দু’বছরের মতো এ বারও বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করা হবে৷ সেই মতো বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরের সভাকক্ষে একটি বৈঠক হয়৷ তাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) সুরজিৎকুমার দে, এসডিপিও নিখিল অগরওয়াল, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। আহ্বান জানানো হয়েছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চকেও। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বীরভূম জেলাশাসক। তিনি জানান, বিকল্প পৌষমেলার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে পূর্বপল্লীর মাঠ চেয়ে আবেদন করা হবে৷ মাঠ পাওয়া গেলে সেখানেই হবে মেলা। মাঠ না পাওয়া গেলে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে হবে বিকল্প পৌষমেলা। প্রসঙ্গত, গত দু’বছরও এই মাঠেই বিকল্প পৌষমেলা হয়েছিল৷ জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিকল্প পৌষমেলা হবেই৷ ৭ পৌষ থেকেই শুরু হবে মেলা৷’’