বীরসিংহের রাস্তা ছয়লাপ যুযুধানের পতাকায়। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর সফর। উপলক্ষ বিদ্যাসাগরের জন্মের দু’শো বছর। আপাত অরাজনৈতিক সেই কর্মসূচিতেও এড়ানো যাচ্ছে না রাজনীতির উত্তাপ।
আজ, মঙ্গলবার যে পথে বীরসিংহে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আগে থেকেই সেখানে কিছু বিজেপির পতাকা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে তৃণমূলও কিছু পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। সোমবার ঘাটালের জলসরা, পাতরা, সিংহডাঙা, বীরসিংহে পাল্লা দিয়ে উড়েছে দু’দলের পতাকা। রাতে বীরসিংহ গ্রামের সব পতাকাই অবশ্য খুলে দেয় পুলিশ। পুলিশ-প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বীরসিংহের রাস্তায় বিজেপির পতাকা দেখে ঘুম ছুটেছিল পুলিশ ও তৃণমূল দু’পক্ষেরই। মুখ্যমন্ত্রীর বীরসিংহ সফরের আগে গেরুয়া পতাকা সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে চেষ্টাও হয়। কিছু পতাকা সরানো হয়েছিল। তবে তারপরেই আসরে নামে তৃণমূল। এ দিন বীরসিংহের রাস্তায়, মোড়ে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কিছু জায়গায় এমন ভাবে পতাকা দেওয়া হয়েছে তাতে অনেকটাই ঢাকা পড়ে গিয়েছে বিজেপির পতাকা।
গত পঞ্চায়েত ভোটে বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনই দখল করেছিল তৃণমূল। জয় না পেলেও টক্কর দিয়েছিল বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে তেড়েফুঁড়ে আসরে নামে গেরুয়া শিবির। ফলাফলেও বীরসিংহ পঞ্চায়েতের অনেক এলাকায় তৃণমূলের থেকে এগিয়ে যায় বিজেপি। বীরসিংহ গ্রামেও তৃণমূলের প্রায় সমান ভোট পায় পদ্ম শিবির। তাতে চাঙ্গা হয়ে ভোটের ফল প্রকাশের পরে সংগঠন মজবুত করতে জোর দেয় গেরুয়া শিবির। কাটমানি প্রসঙ্গে শুরু হয় আন্দোলন। কোণঠাসা হয়ে পড়ে তৃণমূল। বীরসিংহে তৃণমূলের পার্টি অফিসও দখল করে বিজেপি।
গেরুয়া শিবিরের দাবি, বীরসিংহের রাস্তায় দলের পতাকা বহু দিন আগে থেকেই আছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য ওই পতাকা টাঙানো হয়নি। তবে তৃণমূলের পতাকা টাঙানো নিয়ে তাঁরা ভাবিত নয় বলেই দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের স্থানীয় নেতা রামকুমার দে বলেন, “রাতের অন্ধকারে কে বা কারা দলের পতাকা কিছু খুলে দিয়েছে। তবে তা নিয়ে দল চিন্তিত নয়।” তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির পাল্টা খোঁচা, “বীরসিংহে যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে বিজেপির পতাকা হাওয়ায় উড়ে যাবে।”