এই পঞ্চায়েত অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
রাজনৈতিক জমি দখলের লড়াইয়ে সরগরম হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েক দিন ধরে জেলার খেজুরি, এগরা, পটাশপুরের মতো জায়গাগুলিতে তৃণমূল বনাম বিজেপির হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এ বার ঘটনাস্থল শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রাম।
বুধবার বিকেলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগরে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুধু হামলা নয়, ওই সময় পঞ্চায়েত অফিসে থাকা কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান। তিনি বলেন, “পুলিশে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরই বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে তারা।”
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তমলুক জেলার দলের সাংগাঠনিক সাধারণ সম্পাদক সাহেব দাসের পাল্টা অভিযোগ, মঙ্গলবার তাঁরা মহেশপুর এলাকার একটি দোকানে দলীয় পতাকা লাগিয়েছিলেন। এর পরই রাতে মুক্তি পণ্ডা-সহ দলের একাধিক সদস্যের বাড়িতে হামলা চালায় এবং মারধর করে তৃণমূলের লোকেরা। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে
বিজেপি-র আরও অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাদের একাধিক কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন, বিক্ষোভ দেখান। নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত অফিসে গণ্ডগোল করার অভিযোগে কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।