তৃণমূল ও বিজেপির সংঘাত ঠেকাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত দফতরে মধুচক্রের আসর বসাচ্ছেন পঞ্চায়েত সচিব। বিজেপির তোলা এই অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ধুন্ধুমার চলল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বুধবার সকালে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত হন সেখানে। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি। পুলিশ গিয়ে সামাল দেয় পরিস্থিতি।
বিজেপির অভিযোগ, গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের ভিতরে মঙ্গলবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ আলো জ্বলতে দেখা গিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সেই সময় পঞ্চায়েতের ভিতরে এক মহিলা এবং পঞ্চায়েত সচিব ছিলেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে হাজির হন আশপাশের লোকজন। রাত ভর পঞ্চায়েত ঘিরে ধরে বিজেপির নেতৃত্বে শুরু হয় বিক্ষোভ। গোকুলনগরের বিজেপি নেতা সাহেব দাসের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েতে রাতে মধুচক্র চলছে। উদ্ধার হওয়া মহিলার বাড়ি নন্দীগ্রাম থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কোলাঘাটে বলে জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করার পরিবর্তে তাঁদের সুরক্ষা দিতে হাজির হয়েছে তৃণমূলের লেঠেল বাহিনী। তাঁরা মারধর করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশ এলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাসের দাবি, ‘‘পঞ্চায়েতে অডিট রয়েছে বলেই রাত জেগে কাজ চলছিল। বিজেপি ষড়যন্ত্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিজেপির লোকজনই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে মাঠে নেমে লড়াই চালাব।’’ বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে টানাপড়েন চলছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি।