রামপুরহাটে সিবিআই অস্থায়ী শিবিরে গিয়ে লালনের মৃত্যুস্থল ঘুরে দেখেছেন সিআইডির আইজি। —নিজস্ব চিত্র।
হেফাজতে থাকাকালীন বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে চাপে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শেষকৃত্যের জন্য লালনের দেহ বগটুই গ্রামে পৌঁছনোর মধ্যেই রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে পৌঁছে গেলেন রাজ্য সিআইডির আইজি সুনীলকুমার চৌধুরী। অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকও ছিলেন সেখানে। ঠিক কী কী কথাবার্তা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা না গেলেও পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন আইজি। তা ছাড়া, যেখানে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়, সেই জায়গাও পরিদর্শন করেন তিনি।
গত সোমবার সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগারে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করেছে সিবিআই। তবে বগটুইয়ে ১০ গ্রামবাসীর মৃত্যু এবং বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এ নিয়ে একটি এফআইআর করেছেন মৃতের স্ত্রী রেশমা বিবি। অন্য দিকে, এই রহস্যমৃত্যুর তদন্ত সিআইডি নেওয়ার পর বুধবার লালনের দেহ নিতে সম্মত হয় পরিবার। কিন্তু দেহ নিয়ে গ্রামে যাওয়ার পথে একপ্রস্ত উত্তেজনা ছড়ায়। সিবিআই অস্থায়ী শিবিরের সামনে দেহ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন লালনের পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা। দেহ নিয়ে তাঁরা সিবিআইয়ের শিবিরে ঢুকতে চাইলে শুরু হয় উত্তেজনা। সিবিআই আধিকারিকদের শাস্তি দাবি করেন লালনের স্ত্রী।
অন্য দিকে, রেশমার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যে এফআইআর করেছে, তাতে মোট ৭ সিবিআই আধিকারিকের নাম আছে। কিন্তু তালিকায় গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য এবং স্বরূপ ভট্টাচার্যের নাম থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে অন্য এক বিতর্ক।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রের অভিযোগ, ‘‘এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ, গরু পাচার মামলার তদন্তকারী দুই অফিসারের সঙ্গে বগটুই ঘটনার তদন্তের কোনও যোগ নেই।’’ পুলিশের দায়ের করা এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে হাজির হলেন সিআইডির আইজি।