প্রতীকী ছবি। ছবি সংগৃহীত।
বিশ্বে ক্রমশ বাড়ছে সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা। সম্প্রতি ‘রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস’ (আরএসএফ)-এর একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখানো হয়েছে, ২০২১ সালে যেখানে জেলবন্দি সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল ৪৮৮, ২০২২ সালের এক মাস বাকি থাকতেই সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৩-এ!
ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের গ্রেফতারিতে এগিয়ে রয়েছে ৫টি দেশ। গত কয়েক বছরের মতো এ বারেও শীর্ষে রয়েছে চিন। তার পর যথাক্রমে রয়েছে মায়নমার, ইরান, ভিয়েতনাম এবং বেলারুশ। এ প্রসঙ্গে আরএসএফ-এর প্রধান ক্রিস্টোফার ডেলোয়ার বলেছেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন যে ভাবে দ্রুততার সঙ্গে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করছে, তা অতীতে দেখা যায়নি।” তার পরই তিনি জানান, বিশ্বে বিভিন্ন দেশে সরকারের বিরুদ্ধে সত্যিটা তুলে ধরার জন্য যে সাংবাদিকরা গ্রেফতার হচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে সংস্থা।
সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনায় ইরান প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায় আগে ছিল না। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর সে দেশে যে হিজাব বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, তাতে সংবাদমাধ্যমগুলিও সরকারের গোঁড়া এবং রক্ষণশীল নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়। তার পরেই ৩৪ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে ইরানের প্রশাসন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মহিলা সাংবাদিকদের গ্রেফতার করার ঘটনাতেও রেকর্ড করেছে ২০২২ সাল। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৭৮ জন মহিলা সাংবাদিক জেলবন্দি রয়েছেন। এত সংখ্যক মহিলা সাংবাদিক আগে কখনও গ্রেফতার হননি।
পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, সাংবাদিকদের জেলবন্দি করার অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে এশিয়া, আরও নির্দিষ্ট করে বললে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই দেশগুলিতে জেলবন্দি সাংবাদিকদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে এই রিপোর্টে।