প্রতীকী ছবি।
তাড়াহুড়ো করে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, জেলার যে বিপুল সংখ্যক প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালুর চেষ্টা চলছে, তারমধ্যে অনেক স্কুলেই ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই। এ বার জেলা প্রশাসনের এক রির্পোটে পরোক্ষে সেই অভিযোগই মেনে নেওয়া হল।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দফতর থেকে রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরে এক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে জানানো নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের প্রস্তাবিত ১,১৫৪টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ২৪৪টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠনের নূন্যতম পরিকাঠামো নেই। জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক মানছেন, সম্প্রতি রাজ্যে দু’টি তালিকা পাঠানো হয়। একটিতে ৯১০টি প্রাথমিক স্কুলের নাম রয়েছে। যেগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি চালুর নূন্যতম পরিকাঠামো রয়েছে। আরেকটিতে ২৪৪টি প্রাথমিকের নাম রয়েছে। ওই স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি চালুর নূন্যতম পরিকাঠামো এখনও নেই। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা রাজ্যের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।’’
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণি চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এমন অনেক প্রাথমিক স্কুলে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকের অভাবও রয়েছে। রাজ্যের প্রাথমিক নির্দেশ আসার পর পরিস্থিতি বুঝতে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (এসআই) কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় জেলা শিক্ষা দফতর। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা কত, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগার রয়েছে কি না, এ সব জানানোর কথা বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট জমা পড়ে জেলায়।
গড়বেতার এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের কথায়, ‘‘আমাদের স্কুলে এখনকার পড়ুয়ারাই ঠিক মতো বসতে পারে না। শ্রেণিকক্ষের অভাব রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণি শুরু হলে কী হবে বুঝে উঠতে পারছি না!’’ তাঁর কথায়, ‘‘উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই এরকম অনেক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণি চালুর কথা বলা হয়েছে। কী ভাবে চালু হবে বুঝে উঠতে পারছি না!’’
জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক মানছেন, উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলির উপর চাপ কমাতেই প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ স্কুলেই পরিকাঠামো রয়েছে। তবে কয়েকটিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। সবদিক দেখে যে পদক্ষেপ করার করা হবে।’’