—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। করম পরবের ঠিক আগে অবশেষে পুনর্নবীকরণ হল কুড়মি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের। তবে এখনও টাকা বরাদ্দ হয়নি। ২৫ সেপ্টেম্বর, করম পরবের আগে কি মিলবে সরকারি বরাদ্দ, উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, ওই বোর্ডের উদ্যোগে গত চার বছর ধরে করম পরব হয়েছে। রাজ্যে তৃণমূলের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রতি বছর করম পরবের দিনে ‘সেকশনাল হলিডে’ ঘোষণা করা হতো। করম পরবে সর্বজনীন ছুটির দাবিতে গত বছর করমের দিন ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করছিলেন কুড়মিরা। যার ফলে মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। করম পরবে সর্বজনীন ছুটির দাবিতে কুড়মি সংগঠনগুলি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থও হয়েছিল। এরপরে অগস্ট মাসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করম পরবের দিন পূর্ণ ছুটি ঘোষণা করেন। সেইমতো অর্থ দফতর এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর করমের ছুটির জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে।
জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বসবাসকারী কুড়মিদের অন্যতম প্রধান কৃষি ভিত্তিক গণ উৎসব হল করম। পার্শ্ব একাদশীর বিশেষ তিথিতে ওই উৎসব হয়। ওই সন্ধ্যায় করম গাছের ডাল পুঁতে করম পুজো করেন কুমারীরা। কৃষি-সমৃদ্ধি ও সন্তান কামনায় পুজো করা হয়। জানা গিয়েছে, কুড়মি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড হওয়ার পর থেকে করম পরবের জন্য জেলায় প্রতিটি ব্লক পিছু ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। বোর্ডের মাধ্যমেই ওই টাকার খরচ হতো।
সেই বোর্ডের মেয়াদ এতদিন না বাড়ানোয় এবার করম পরবের আগে অস্বস্তিতে ছিলেন তৃণমূলের কুড়মি নেতারা। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে তার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এবার বরাদ্দও মিলবে, আশা ওই নেতাদের।
বিগত কুড়মি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন্দ্রনাথ মাহাতো। নতুন বোর্ডেও তিনি ওই পদে আছেন। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে জেলার আটটি ব্লকেই সরকারি ভাবে করম পরব হয়েছে। এবার সরকারি ভাবে আর্থিক বরাদ্দ না পেলে সমস্যা হবে। তাহলে সরকারি উদ্যোগে করম হবে না। আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এনেছি। আশা করছি সুরাহা হবে।’’
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি রাজ্যের শীর্ষ মহলে জানানো হয়েছে।