—নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের প্রচারকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি। এ বার রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে তথা পুরভোটে কাঁথির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুপ্রকাশ গিরির উপর হামলা ও তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে। যা ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পুরসভা এলাকায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের শতাধিক কর্মী-সমর্থক সুপ্রকাশের উপর হামলার অভিযোগ তুলে কাঁথি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুপ্রকাশ যখন প্রচারে বেরিয়েছিলেন, সেই সময় প্রচার করছিলেন শুভেন্দুও। দু’পক্ষ সামনাসামনি চলে আসতেই গোলমাল বাধে। ওই সময় শুভেন্দুর দেহরক্ষীরা সুপ্রকাশকে মারধর করেন।
আহত অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে যান সুপ্রকাশ। তাঁকে মারধরের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূল কর্মীরা ছুটে আসেন কাঁথি থানায়। মন্ত্রী-পুত্রের গায়ে যাঁরা হাত দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবিতে তাঁরা সরব হন। পাশাপাশি, থানা লাগোয়া কাঁথি শহরের মূল রাস্তাতেই পথ অবরোধ করেন বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা।
হাসপাতাল থেকে ফিরে সুপ্রকাশও অনুগামীদের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হয়ে বলেন, ‘‘শুভেন্দুর দেহরক্ষীরা আমাদের শিবির ভাঙচুর করেছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেছে ওঁরা। বুকে-পেটে লাথি মেরেছে। সিআরপিএফ নিয়ে কেন প্রচারে যাচ্ছেন শুভেন্দু? মন্দিরে যাচ্ছে সিআরপিএফ নিয়ে! সিআরপিএফ-এর দাদাগিরি মানব না।’’
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই শুভেন্দু ও তাঁর দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে হুমকি ও মারধরের তিনটি আলাদা মামলা রুজু হয়েছে কাঁথি থানায়।
যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুভেন্দু যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন, সেখানেই তাঁর পথ আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।