ফাইল চিত্র।
দলহীন ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা চলছেই। তার মাঝে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগে শুভেন্দুর তৃণমূল ত্যাগের সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। এবিষয়ে নিজের স্পষ্ট অবস্থান না জানালেও বিভিন্ন অরাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
রবিবার মহিষাদলে সদ্য প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় হাজির ছিলেন শুভেন্দু।স্মরণসভার আয়োজন করেছিল তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন শুভেন্দু। তারপর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে রাস উৎসবের অনুষ্ঠানে সোমবার তাঁকে খোল-করতাল বাডাতেও দেখা গিয়েছে। এবার অরাজনৈতিকভাবে জেলা সদর তমলুক শহরে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছেন শুভেন্দু। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস উপলক্ষে তমলুক শহরের হাসপাতালমোড় থেকে ক্ষুদিরামের স্মৃতি বিজড়িত হ্যামিল্টন হাইস্কুল পর্যন্ত এই পদযাত্রার আয়োজন করেছে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু। পদযাত্রায় শুভেন্দু ছাড়াও সমিতির সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক ব্রহ্মময় নন্দ-সহ তমলুক শহর ও বিভিন্ন এলাকা থেকে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ যোগ দেবেন বলে আয়োজকদের দাবি। পদযাত্রার আয়োজকদের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তমলুক শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র এবং দেবকমল দাস, আনন্দ নায়েক,শান্তনু মাইতি-সহ দাদার অনুগামীরা। বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘বিপ্লবী শহিদ ক্ষুদিরাম বসু তমলুক শহরের হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বিপ্লবী জীবনের সঙ্গে তমলুকের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ৩ ডিসেম্বর ক্ষুদিরামের জন্মদিবস স্মরণে ওই দিন সকাল ১০টায় তমলুক শহরে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। হাসপাতাল মোড়ে ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশ থেকে হ্যামিল্টন হাইস্কুল পর্যন্ত পদযাত্রায় শুভেন্দুবাবু নেতৃত্ব দেবেন। পদযাত্রা শেষে হ্যামিল্টন হাইস্কুল প্রাঙ্গণে সভা হবে।’’
ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস উপলক্ষে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগ এবারই প্রথম পদযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে। তাই বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে এই পদযাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুভেন্দুকে নিয়ে দলে দোলাচলের মধ্যেই শুভেন্দু বিরোধী তৃণমূল শিবিরের নেতারাও সভা-মিছিলের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। গত ২২ নভেম্বর তমলুক শহরে তৃণমূল শহর সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্রের উদ্যোগে বিজয়াসম্মিলনী হয়। সেদিনই শহরের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে শুভেন্দু বিরোধী শিবির ‘তৃণমূল পরিবার’ ব্যানারে বিজয়ী সম্মিলনী করে। আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় প্রমুখ। সেই পথ ধরেই ৩ ডিসেম্বর শহরে শুভেন্দুর পদযাত্রার কর্মসূচির পরে ১১ ডিসেম্বর তমলুক রাজময়দানে জন সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছে শুভেন্দু বিরোধী তৃণমূল নেতৃত্ব।
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমত কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ও রাজ্য সরকারের জনমুখী উন্নয়ন কাজের প্রচারের লক্ষ্যে রাজময়দানে সমাবেশ হচ্ছে।দলের রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন।’’