ছবি সংগৃহীত।
তৃণমূলের সাম্প্রতিক রদবদলে ‘দাদা’র ক্ষমতা কিছুটা কমেছে বলে শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের মত। যা নিয়ে তাঁর সরব হয়েছেন। শুভেন্দু এ নিয়ে প্রাকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে থেমে নেই তাঁর উদ্যোগে চলা সমান্তরাল জনসংযোগ।
জেলার দাপুটে নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দুকে কখনও দেখা গিয়েছে দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। কখনও তাঁর অনুগামীদের মাধ্যমে সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন জঙ্গলমহলে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রীকে। করোনা রোগী বহনে দান করেছেন অ্যাম্বুল্যান্স। বুধবার সেই পথ ধরেই করোনা মোকাবিলায় ফের এগিয়ে আসতে দেখা গেল তাঁকে। পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পুলিশকর্মীদের হৃদ্স্পন্দন মাপার জন্য ‘পালস অক্সিমিটার’ যন্ত্র দিলেন পরিবহণমন্ত্রী। নন্দীগ্রাম এবং তমলুক জেলা স্বাস্থ্যদফতরকে এক হাজার এই যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে বলে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের দাবি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘উপসর্গবিহীন রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই তাঁদের হৃদস্পন্দন মাপতে গিয়ে যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য পালস অক্সিমিটার যন্ত্র চেয়ে পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম। উনি আমাদের পাশে দাঁড়ানোয় আমরা কৃতজ্ঞ।’’
দলের সাংগঠনিক রদবদলে রাজ্য স্তরের শীর্ষ কমিটিতে ঠাঁই পেলেও শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে একপ্রকার অন্তরালে চলে গেলেও লকডাউনে দলের পাশাপাশি নিজের জনসংযোগ কর্মসূচিতে কোনও ছেদ পড়তে দেননি। তাই নিজের জেলা থেকে জঙ্গলমহল— সর্বত্রই মানুষের পাশে থেকেছেন। দলের সাংগঠনিক রদবদলের পরে তাঁর রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি নিয়ে দলে বা ঘনিষ্ঠ মহলেই নয়, সমাজ মাধ্যম জুড়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
এর মধ্যে করোনা মোকাবিলায় পরিবহণ মন্ত্রীর স্বাস্থ্যকর্মী এবং জেলাবাসীর পাশে থাকার এ হেন উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের দাবি, নন্দীগ্রাম, জঙ্গলমহল থেকে করোনা— বরাবরই সাধারণ মানুষের ভরসা ‘দাদা’।