Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর জেলা থেকে দিল্লিতে ক’জন? শুরু হিসেবনিকেশ

শনিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ট্রেনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল হওয়ায় বাসে করে রওনা হয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল , কেশব মান্না

তমলুক, কাঁথি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:০৪
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

বিরোধী দলনেতার নিজের জেলা থেকে শাসকদলের কত জন নেতা কর্মী দিল্লিতে ধর্না-মিছিল কর্মসূচিতে গিয়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। চলছে হিসেবনিকেশ।

Advertisement

এমনিতেই এই কর্মসূচি নিয়ে শাসক-বিরোধী টানাপড়েন এবং অভিষেক-শুভেন্দু লডাই তুঙ্গে উঠেছে। হুমকি-পাল্টা হুমকিও অব্যাহত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২ ও ৩ অক্টোবর ওই কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সহ জবকার্ড রয়েছে এমন বেশ কিছু শ্রমিক। একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য টাকার দাবিতে দিল্লিতে তাঁদের ধর্না- মিছিল করার কথা।

রবিবারও অবশ্য এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘চোর-চাট্টাগুলো সব দিল্লি যাচ্ছে। ওখানে নাকি ১০ লক্ষ লোক হবে! যান আপনারা গিয়ে গুণে আসুন।’’

Advertisement

শনিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ট্রেনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল হওয়ায় বাসে করে রওনা হয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার প্রতিটি ব্লক থেকেই ১০ জন করে কর্মী-সমর্থককে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি হয়েছিল। এর মধ্যে তমলুক সাংগঠনিক জেলার ১৩০ জনকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ট্রেন বাতিলের পরে বাসে চেপে দিল্লি যেতে রাজি না হওয়ায় ১০ জন বাড়ি ফিরলেও ১২০ জন দিল্লির উদ্দেশে গিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা থেকে মোট ৬০ জন তৃণমূল কর্মী গিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা থেকে কলকাতায় পৌঁছে যেতে বলা হয়। কাঁথি সংগঠনিক জেলা থেকে ৭০ জন শুক্রবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যদিও ট্রেন বাতিল হওয়ায় ১০ জন তখন ফিরে আসেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রেনে চেপে ১০ জন রওনা দেন।

বাকি ৫০ জন শনিবার কলকাতা থেকে বাসে চেপে দিল্লির রওনা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক তরুণ মাইতি বলছেন, "সব মিলিয়ে জেলা থেকে মোট ৬০ জন দিল্লির কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ৫০ জন বাসে চেপে গিয়েছেন। সকলেই ঠিকঠাক আছেন। কোনও অসুবিধে হয়নি।’’

জেলা নেতৃত্ব-সহ তমলুক শহর এবং বিভিন্ন ব্লক থেকে একাধিক তৃণমূল নেতা বিমানে দিল্লি গিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে ও মহিষাদলে বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী শনিবার দুপুরে দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লি রওনা হন।

শনিবার বিকেলেই তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া ও তমলুকের পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়-সহ পুরসভার পাঁচ জন কাউন্সিলর ও শহরের অন্য তৃণমূল পদাধিকারী মিলিয়ে মোট ২০ জন বিমানে দিল্লি গিয়েছেন। এ ছাড়াও তমলুক, নন্দকুমার, মহিষাদল, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা বিমানে দিল্লিতে গিয়েছেন।

তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া বলেন, ’’তমলুক শহর থেকে দলের পদাধিকারীরা মিলিয়ে আমরা মোট ২০ জন দিল্লিতে যাচ্ছি।’’ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি শরৎ মেট্যা দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বাসে দিল্লিতে যাচ্ছেন।

রবিবার বিকেলে বাস থেকে ফোনে শরৎ বলেন, ’’শনিবার কলকাতা থেকে বিকেল প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ আমাদের বাস ছেড়েছিল। আমাদের সাংগঠনিক জেলার কর্মী-সমর্থকরা দু’টি বাসে রয়েছেন। রাতে বর্ধমানের কুলটি’র কাছে নৈশাহার করার পরে সারা রাত বাস চলেছে। ঝাড়খণ্ড দিয়ে আসার পথে ব্যপক বৃষ্টি হচ্ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement