দিলীপের ছবি , অন্য একটি ফ্লেক্সে সেই ছবিতেই কেটে বসানো হয়েছে শুভেন্দুর মুখ। নিজস্ব চিত্র
ফ্লেক্সে এক নেতার শরীরে অন্য নেতার মাথা।
সোমবার বিকেলে গড়বেতায় বিজেপির সভায় দেখা গেল সেই ছবি। বিষয়টি জানাজানি হতে সভা শুরুর আগে মঞ্চের সামনে থেকে সেই সব ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি দলীয় কর্মীদের চোখ এড়িয়ে গেলেও মঞ্চের সামনে থাকা বিজেপি নেতারা আড়ালে বলছেন, এটা না হলেই ভালো হতো।
এ দিন দলীয় সভার জন্য গড়বেতা হাইস্কুল মাঠ-সহ আশেপাশে জেলা, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি দেওয়া বড় বড় ফ্লেক্স টাঙায় বিজেপি। সেখানে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার সঙ্গে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর ছবিও ছিল। এর মধ্যে সভাস্থলের মাঠ ও পাশের রাস্তায় টাঙানো কয়েকটি ফ্লেক্সে দেখা যায় দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর শরীরের কাঠামো পুরো এক। যা দেখে সভায় আসা অনেকেই প্রথমে অবাক হয়ে যান। ভাল করে দেখে বোঝা যায়, দিলীপ ঘোষের ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে কোনও সমস্যা না থাকলেও শুভেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্সের শরীরটি দিলীপের। অর্থাৎ দিলীপের পুরো ছবি থেকে তাঁর মুখ কেটে শুভেন্দুর মুখ বসানো হয়েছে। বিষয়টি যে অস্বস্তিকর তা মেনে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা এক নেতা বলেন, ‘‘যেখানে সভার জন্য এতটাকা খরচ হচ্ছে, সেখানে একজনের ছবির উপর অন্যজনের মুখ বসিয়ে ফ্লেক্স করাটা ঠিক হয়নি।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, ছবি বিভ্রাটের বিষয়টি রবিবার রাতেই নজরে আসে উদ্যোক্তাদের। কিন্তু ফ্লেক্স টাঙানো হয়ে যাওয়ায় তখন আর করার কিছু ছিল না তাঁদের। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কয়েকজন এই নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশও করেছেন। যে ফ্লেক্সগুলিতে বিভ্রাট ছিল তার কয়েকটির নিচে সৌজন্যে হিসেবে গড়বেতার বাসিন্দা তথা বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অনির্বাণ শুকুলের নাম ছিল। তাঁকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অবশ্য দাবি করেন, ‘‘কোথায়! দেখিনি তো!’’ তবে দলের স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি সনৎ সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘হ্যাঁ, তাড়াতাড়ির জন্য কয়েকটি ছবি এরকম হয়ে গিয়েছে।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর মুখ ও মুখোশ আলাদা, জেলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন। তাই তৃণমূলের সভায় উপচে পড়ছে ভিড়।’’ এ দিন ছোট আঙারিয়া দিবস উপলক্ষে বোষ্টম মোড়ে সভা করে তৃণমূল। দু’টি সভাতেই ছিল ঠাসা ভিড়।