আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাখাল বেরাকে। — ফাইল চিত্র
ভরা এজলাসে নাটক। অভিযুক্ত চিৎকার করে বিচারককে বলছেন, ‘‘আমি একের পর এক মামলায় জেরবার। আমাকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন।’’
সোমবার কাঁথি মহকুমা আদালতে এমনই দৃশ্যের অবতারণা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরা। বিচারকের কাছে রাখালের সেই আকুতির কথা পর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীই। রাখালের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
কাঁথির অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্যের এজলাসে সোমবার রাখালের মামলা উঠেছিল। সেখানেই তিনি বিচারকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর মৌখিক আবেদন করেন। এই প্রসঙ্গে রাখালের আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমার মক্কেল তাঁর মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোনও লিখিত আবেদন করেননি।’’ অনির্বাণ আরও বলেছেন, ‘‘আমার মক্কেলকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে থানায় বসিয়ে রাখা হচ্ছে। তার পর ফের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। এর থেকে মরে যাওয়া ভাল বলে আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।’’ অনির্বাণের বক্তব্য, ‘‘ওঁর বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি হয়েছিল তার বেশির ভাগেই জামিন পেয়েছেন তিনি। এখন কাঁথি থানায় রাখালবাবুর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রয়েছে। একটি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা, অন্যটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি করিয়ে নিয়োগ করার অভিযোগ।’’
অনির্বাণ জানিয়েছেন, সোমবার কাঁথি আদালতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা মামলায় জামিন পেয়েছেন রাখাল। তবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি করিয়ে চাকরি দেওয়ার মামলায় তাঁকে ফের চার দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশের পরেই আদালতে স্বেচ্ছামৃত্যুর কথা বলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাখাল।