— প্রতীকী চিত্র।
মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কর্নাটক সরকার নিষিদ্ধ করেছিল ওই রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন। মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর পরে সেই স্যালাইন ছিল সন্দেহ ও অভিযোগের শীর্ষে। কিন্তু সেই ঘটনার পর আসা ল্যাবরেটরির গুণমান পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ‘সসম্মানে’ পাশ করে গিয়েছে সেই স্যালাইন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোর’ (ডিআরএস) থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো আরএল (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) গুণগত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য সরকারের ‘স্টেট ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরি।’ ১৩ জানুয়ারি তারিখের সেই ‘রিপোর্ট’ বুধবার পৌঁছেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন,‘‘রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই আরএল-এ গলদ পাওয়া যায়নি।’’ গত বছর মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ২৩৯৬ ব্যাচের ওই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। এত দিন সময় লাগল কেন রিপোর্ট আসতে, সে ব্যাপারে ড্রাগস কন্ট্রোল মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কর্মীর অভাবে অত্যন্ত ঝিমেতালে পরীক্ষার কাজ হচ্ছে ল্যাবরেটরিতে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৩০ হাজার বোতল আরএল এসেছিল। ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর তৈরি ওই আরএলের ২৩৯৬ ব্যাচের ১১৪৫০ বোতল ও ২২৮৮ ব্যাচের প্রায় ৭ হাজার বোতল। ফেব্রুয়ারি মাসে সেগুলি রিজার্ভ স্টোরে আসার পর মে মাসে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে স্টেট ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবেরোটরি। ডিআরএসে মজুত রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন এর পর প্রয়োজন অনুযায়ী জেলা এবং ভিন্ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গত ৩০ ডিসেম্বর কিছু স্যালাইন চায়। চলতি বছর ২ জানুয়ারি ২৩৯৬ ব্যাচের প্রায় ৪ হাজার বোতল ও ২২৮৮ ব্যাচের ১২৫০ বোতল আরএল তাদের পাঠায় পূর্ব মেদিনীপুর। সব মিলিয়ে ২৩৯৬ ব্যাচের ৭৬২৫ বোতল এরএল খরচ হয়েছিল। মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার জেরে বিতর্কের পর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে থাকা ২৩৯৬ ব্যাচের ৩৮২৫ বোতল আরএল ‘সিল’ করা হয়েছে।