প্রায় গোটা রাস্তা জুড়ে ফেলা হয়েছে বালি। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা জুড়ে ফেলে রাখা হয় নির্মাণ সামগ্রী। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল সোমবার। বালি ভর্তি লরিকে আটক করে বিক্ষোভ দেখালেন কোলাঘাটের সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নহলা গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় মানুষজন এবং প্রশাসনের চাপে বাধ্য হয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তার পাশে মজুত করা বালি তুলে নেন বালির ক্রেতা। আর অর্ধেক বালি বোঝাই অবস্থায় লরি নিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন লরির চালক।
গত ১৮ ডিসেম্বর সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের অদূরে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মিতা মান্না নামে এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, সাগরবাড় এলাকায় রাস্তা দখল করে কয়েকজন ব্যবসায়ী নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখে। ফলে ওই সব রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়। ওই কারণে সেদিন ডাম্পারটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মিতাকে পিষে দেওয়া চলে যায়।
এ দিন সকালে নহলা গ্রামে রাস্তা দখল করে একটি লরি বালি নামাচ্ছিল। সেই সময় নহলা ও সারদাবসান গ্রামের শখানেক মানুষ লরিটি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয়েরা দাবি করেন, রাস্তায় এভাবে বালি রাখা যাবে না। কয়েকজন এ নিয়ে ফোন করেন কোলাঘাটের বিডিওকে। কোলাঘাটের বিডিও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তায় ফেলে রাখা বালি না তোলা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেসিবি দিয়ে তা ফেলে দেওয়া হবে।
এরপরেই যে ব্যক্তি বাড়ি তৈরির জন্য বালি কিনেছিলেন, তিনি এসে একঘণ্টার মধ্যে বালি তুলে নেন। লরির চালক অর্ধেক বালি বোঝাই অবস্থায় লরি নিয়ে এলাকা থেকে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সাদেক আলি বলেন, ‘‘দেড় সপ্তাহ আগেই বালিতে হড়কে গিয়ে এলাকার একজনের হাত ভেঙেছে। ডিসেম্বরে একজনের মৃত্যু হয়েছে ডাম্পারের ধাক্কায়। তবুও একইভাবে রাস্তা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হচ্ছে। আজ আমরা সবাই প্রতিবাদ করেছি। আগামী দিনেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।’’