এই জানলা দিয়েই বন্দিরা পালায় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
কড়া পাহারায় জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তমলুক আদালতে। সেই সময়ে পুলিশ ভ্যান থেকে পালিয়ে গেল দুই বন্দি। প্রচণ্ড যানজটের সুযোগ নিয়ে, ওই ভ্যানের জানলার রড বাঁকিয়ে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। যদিও গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাই প্রশ্নের মুখে। খালি হাতে বন্দিরা কী ভাবে জানলার রড বাঁকাল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মাদক পাচার-কাণ্ডে গত বছর হলদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় অনিমেষ বেরা এবং বিশাল দাসকে। তমলুক আদালতে মামলাটি ওঠে। তবে সেখানকার জেলে জায়গা না থাকায়, দু’জনকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে তমলুক আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাদের। কিন্তু তমলুকে ঢোকার মুখে যানজটে আটকে যায় পুলিশের ভ্যান। এ সব নিয়ে পুলিশকর্মীরা যখন ব্যস্ত, তখনই ভ্যানের জানলার রড বাঁকিয়ে, সেখান দিয়ে গলে ওই দুই বন্দি পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অনিমেষ এবং বিশাল জানলা দিয়ে লাফ দিতেই টনক নড়ে তাদের। তাদের ধাওয়া করা হয়। কিন্তু রাস্তায় ভিড় থাকায় বেশি ক্ষণ তাদের ধাওয়া করা যায়নি। সেই সুযোগে দু’জনেই পুলিশের চোখের আড়ালে চলে যায়।
কড়া পুলিশি পাহারা সত্ত্বেও বন্দি পালানোর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘ভ্যানের জানলা গলে পালিয়েছে দুই বন্দি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’
তবে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। খালি হাতে ভ্যানের ভিতর থেকে কী ভাবে বন্দিরা জানলার শক্ত রড বাঁকিয়ে ফেলল, তারও সদুত্তর মেলেনি। শুধু তাই নয়, বন্দিদের সঙ্গে ভ্যানে থাকা পুলিশকর্মীরা সেই সময় কী করছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পলাতক বন্দিদের সন্ধান পেতে তমলুকের বাইরে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে রেখে নাকা তল্লাশি চলানো হচ্ছে।