এই পোস্টার নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার ফেলছে তার খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে।’’
নিজস্ব চিত্র
ফের মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হল ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার আশাকাথি এলাকা থেকে। পোস্টারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হলেও পুলিশের দাবি, সেগুলি ভুয়ো পোস্টার। পোস্টারগুলির কয়েকটিতে চণ্ডী মাহাতো ও বিকাশ মাহাতো নাম রয়েছে। যদিও বিকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই নিয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এই পোস্টার নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার ফেলছে তার খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে।’’
কিছু দিন আগে পোস্টার সাঁটানো ও লেখার অভিযোগে ধৃত দম্পতির মধ্যে পূজা সিংহকে হেফাজতে পেলেও তিনি অসুস্থ থাকায় ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি। সুস্থ হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তা ছাড়া তাঁকে আরও ন’দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানাবে পুলিশ।
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি থানার পিড়াকাটা এলাকায় পুলিশের কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। বুধবার সাতপাটি পঞ্চায়েত প্রধান পরিমল ধল-সহ আরও এক তৃণমূল নেতার নামে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার।
সেই পোস্টারে পিড়াকাটা এলাকায় বন্ধ ঘোষণা করেছিল মাওবাদীরা। উদ্ধার হওয়া ওই পোস্টার মাওবাদীদের নয় বলে দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করলেও কোনও প্রভাব পড়েনি এলাকায়। সকাল থেকেই খোলা ছিল দোকান বাজার। পুলিশের আধিকারিকেরা পায়ে হেঁটে, গাড়িতে করে টহল দিচ্ছেন। মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
বিনপুর ছাড়াও মাওবাদীদের নাম করে দেওয়া পোস্টার মিলেছে বাঁকুড়ার সাবড়াকোণ থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার রাস্তায় চাঁদাবিলা গ্রামের কাছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাঁকুড়ার সাবড়াকোণ থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার রাস্তায় বৃহস্পতিবার সকালে চারটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পোস্টারগুলি সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে লেখা। প্রতিটি পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘সিপিআই (মাওবাদী)’ । সম্প্রতি বাঁকুড়ার তালড্যাংরা থানার শিমূলডাঙা গ্রামের এক কিশোরীকে মারধর এবং ধর্ষণের চেষ্টাার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করা হয়েছে পোস্টারে।