প্রতীকী ছবি।
সাউন্ড বক্সের যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে প্রায় ৫০টিরও বেশি ডিজে বক্স বাজেয়াপ্ত করল মারিশদা থানার পুলিশ। শারদ উৎসব শুরুর আগেই সাউন্ড বক্সের যথেচ্ছ ব্যবহার রুখতে নিজেদের কঠোর মনোভাবের কথা পুজো উদ্যোক্তাদের জানিয়েছিলেন পুলিশকর্তারা। আপাতত রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম মেনেই অভিযুক্ত পুজো কমিটিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছে পুলিশ।
দুর্গাপুজোর সময় সাউন্ড বক্সের সে রকম রমরমা চোখে না পড়লেও, লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় সাউন্ড বক্সের বাড়বাড়ন্ত চলছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে কাঁথি ৩ ব্লকের মারিশদা, নীলপুর এবং মশাগা এলাকায় অভিযান চালায় মারিশদা থানার পুলিশ। সেখান থেকে ৬৬টি সাউন্ড বক্স এবং ৪৩টি ডিজে মেশিন আটক করা হয়। ওইসব সাউন্ড বক্সের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট মালিককে থানায় ডেকে পাঠানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে গ্রামীণ এলাকায় বিচিত্রানুষ্ঠান চলছে। সেখানে উঁচু মাত্রায় সাউন্ড বক্স বাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, শহর এলাকায় গত কয়েক বছরে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার জেরে সাউন্ড বক্সের উৎপাত অনেকটাই কমেছে। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় পুজো উদ্যোক্তারা পুজো কিংবা বিচিত্রানুষ্ঠানের জন্য অনেক সময়ই প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেন না।
সম্প্রতি হেড়িয়ার অদূরে ঠাকুরনগরের কাছে লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে সাউন্ড বক্সের উৎপাতে সেখানকার বাসিন্দারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের। যদিও পুলিশের দাবি— যে সব এলাকায় পুলিশের গাড়ি পৌঁছয় না, সেখানে ভিলেজ পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে খেজুরিতেও প্রচুর সাউন্ড বক্স আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদেরও শব্দবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আবেগের কথা বিবেচনা করে সাধ্যমতো সাউন্ড বক্স আটকও করা হচ্ছে। পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’’