মাওবাদীদের নামে পোস্টার দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ। —ফাইল চিত্র।
নিছক ভয় দেখাতেই কি মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার? না কি এর পিছনে টাকা আদায় করাও উদ্দেশ্য ছিল? ঝাড়গ্রামে ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মাওবাদীদের নামে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে বিনপুর এবং লালগড় থানার পুলিশ এক মহিলা-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গত আট দিনে। ২৫ এপ্রিল বিনপুর থানার কাঁকো এলাকা থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে পূজা সিংহ নামে এক মহিলাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় তারা। কিন্তু আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পূজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি সোমবার লালগড় থানার পুলিশ তিন জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ধৃতদের মধ্যে এক জন স্পেশাল হোম গার্ড কর্মীও রয়েছেন। মাওবাদীদের নামে পোস্টার লাগানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
একটা সময় ব্যবসায়ী, শিক্ষক, চাকরিজীবীদের ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। সেই পথ ধরে ধৃতরাও টাকা তোলার ছক কষেছিল কি না তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘বিনপুর এবং লালগড় থানা থেকে গত কয়েক দিনে গ্রেফতার হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে চার জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মাওবাদীদের সঙ্গে তাদের যোগ থাকার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার গনগনি পর্যটন কেন্দ্রে উদ্ধার হওয়া মাওবাদীদের নাম করে দেওয়া পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের মতে, ‘‘ভয় দেখাতে ওই পোস্টার লাগিয়েছিল ধৃতরা।’’