প্রতীকী ছবি।
বিজেপি কর্মী তথা প্রাক্তন সেনা কর্মীকে মারধরে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চললেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
পটাশপুর-১ ব্লকের নৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে লোকসভা ভোটের পরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তৃণমূল। বিজেপির আধিপত্যে এলাকায় তৃণমূলের নেতাদের উপর হুমকি আর্থিক জরিমানার ফতোয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। ভয়ে বেশ কয়েক মাস তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-সহ একাধিক নেতা ঘরছাড়া হন। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটের পরে মারধর, বোমাবাজি রোজনামচা হয়ে ওঠে এলাকায়। সম্প্রতি পুলিশি সহায়তায় ঘরছাড়া তৃণমূলের নেতাদের ঘরে ফিরিয়েছে শাসক দল। তারপর থেকেই রু হয়েছে পাল্টা হামলা। বেলদা আলামচক, চকগোপাল, স্যাঁঞা একাধিক এলাকায় হারানো জমি দখলে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। অশান্তি ঠেকাতে আলামচক কালীমন্দিরে কয়েক মাস ধরে অস্থায়ী পুলিশের শিবির রয়েছে।
আলামচক বেলদা এলাকায় বিজেপি সাংগঠনিক কমিটিতে রয়েছেন অবসর প্রাপ্ত সেনাকর্মী অনন্ত মাইতি। অভিযোগ, রবিবার ভাইয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় ওই প্রাক্তন সেনা কর্মীর পথ আটকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কেন সে বিজেপি করবে সেই অপরাধে রাস্তায় ফেলে তাঁকে লোহার রড়, পেরেক লাগানো বাটাম দিয়ে মারধর করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে একশো মিটার দূরে পুলিশের শিবির থাকলেও তারা পদক্ষেপ করেনি। তবে ওই ঘটনার পর রবিবার রাত থেকে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে এলাকায় চলছে তল্লাশি। তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ একজনকেও ধরতে পারেনি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় অশান্তি ও হামলায় পিছনে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তরা এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করে হয়রান করছে।
বিজেপির (কাঁথি) সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এলাকায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিরীহ গ্রামবাসী এবং বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করছে তৃণমূল। উল্টে পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহত্তর আন্দোলন নামা হবে।’’ পটাশপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস মাজির দাবি, ‘‘ওই এলাকায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। হাতে গোনা কয়েক জন এলাকায় বোমাবাজি, মারধর করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করছে।’’