পাঁশকুড়াকে নন্দীগ্রাম করার হুমকি

ভাটপাড়ায় লাগাতার সংঘর্ষের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুর এলাকার দাপুটে নেতা অর্জুন সিংহ ভাটপাড়াকে নন্দীগ্রাম বানানোর হুমকি দিয়েছিলেন

Advertisement

  নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share:

ভাটপাড়ায় লাগাতার সংঘর্ষের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুর এলাকার দাপুটে নেতা অর্জুন সিংহ ভাটপাড়াকে নন্দীগ্রাম বানানোর হুমকি দিয়েছিলেন। ফের একই হুমকি দিতে শোনা গেল পাঁশকুড়ায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা আনিসুর রহমানকে। যাকে কেন্দ্র করে বিজেপির ‘নীতি’ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল।

Advertisement

২০১৭ সালে পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিপরীতে হাঁটায় ডানা ছাঁটা হয়েছিল তৎকালীন তৃনমূল নেতা আনিসুর রহমানের। তারপরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন আনিসুর। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার গ্রেফতার হন পাঁশকুড়ার এই বিতর্কিত নেতা। গত ৩০ মে তিনি জামিনে ছাড়া পান। তারপর থেকেই তাঁর আক্রমণের নিশানায় জেলার তৃণমূল নেতা তথা পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার ইদের দিন রাতে ১০টা নাগাদ পাঁশকুড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দরবার শরিফে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় দরবার শরিফের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পথসভায় আনিসুর এমন মন্তব্য করেন। আনিলুর বলেন, ‘‘অধিকারী পরিবারের চক্রান্তেই অসাংবিধানিকভাবে আমাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল। নন্দ মিশ্র একজন অবৈধ চেয়ারম্যান। জনগণের করের টাকায় উনি মামলা লড়ছেন।’’ এরপর তিনি হুমকি দেন, ‘‘জনগণের টাকায় যদি এবার মামলা লড়তে যান, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে ওঁকে টেনে বাইরে বের করে পুরসভায় তালা লাগাব। পাঁশকুড়াকে নন্দীগ্রাম বানিয়ে দেব।’’

পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দ কুমার মিশ্র বলেন, ‘‘উনি যে দলের নেতা সেই দলের কালচার এটাই। তাই ওঁর কাছথে এর থেকে ভাল কিছু আশা করা বৃথা। পাঁশকুড়া পুরসভা নিয়ে যা হয়েছে তা আইন মাফিক হয়েছে।’’ আনিসুরের বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য একমত নয় তাঁর দলও। বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে তৃণমূল যা করেছে সেই ক্ষোভে হয়তো উনি অতি উৎসাহী হয়ে এই মন্তব্য করেছেন। তবে দলের কর্মপদ্ধতি ওঁর বক্তব্য সমর্থন করে না।’’

Advertisement

জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘ওঁর মতো জুনিয়রের প্রশ্নের উত্তর আমি কী দেব। এই বিষয়ে যা বলার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই বলবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement