ডিভাইডারে গাছের এমন জঙ্গলেই সমস্যা হচ্ছে চালকদের। নিজস্ব চিত্র
বছর তিনেক আগের কথা। রাস্তার সৌন্দর্যায়নের স্বার্থে ডিভাইডারে লাগানো হয়েছিল গাছ। তারপর থেকে ‘ট্রিমিং’এর অভাবে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বেড়েছে গাছগুলি। পরিস্থিতি এখন এমনই যে, তালপুকুর এলাকায় বিদ্যুৎবাহী তারও স্পর্শ করেছে ডিভাইডারের গাছ। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন টোটো, অটো চালক থেকে শুরু করে বাইক আরোহীরাও। ডিভাইডারের লাগানো বড় গাছের আড়ালের কারণে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে দুর্গাচক এলাকায়। মূলত দুর্ঘটনাগুলি ঘটছে কোনও গাড়িকে পাস কাটানো কিংবা ডিভাইডারের ‘কাট’ থেকে ‘ইউ-টার্ন’ নেওয়ার সময়। গাছের আড়ালে ঠাকা পড়ছে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা গাড়ি।
দুর্গাচক থানা এলাকা থেকে মঞ্জুশ্রী পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তায় হলদিয়া-মেছেদা রাজ্য সড়কের অবস্থা কার্যত এমনই। স্থানীয় টোটো চালক বিবেক দাস ও তপন দাসের কথায়, ‘‘গাছগুলি পরিচর্যা করা হয় না। এর ফলে এমন ভাবে জঙ্গল আকার নিয়েছে যে, যাতে কিছু দেখা যাচ্ছে না। পাশের লেনে যাতায়াত করা গাড়িও দেখা যাচ্ছে না।’’ ডিভাইডারের উপরে এই গাছগুলির জন্য যে সমস্যা হচ্ছে, তা মানছে পুলিশও। বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য কমিটির সদস্য নকুল ঘাঁটি, পরিবেশ কর্মী অরুণ দাস জানান, নিয়মিত ট্রিমিং করা উচিত ছিল এই গাছগুলি।
প্রসঙ্গত, হলদিয়া পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান নারায়ণ প্রামাণিক এই এলাকার বাসিন্দা। নারায়ণবাবুর কথায়, ‘‘ডিভাইডারে লাগানো গাছগুলি অসুবিধা তৈরি করছে। এই গাছগুলি লাগিয়েছিল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। বার বার বলার পরও গাছগুলিকে ট্রিমিং করা হয়নি।’’ তবে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, ‘‘অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’