আদালত চত্বরে ফুল্লরা মণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।
বছর ১১ আগে ঘটে যাওয়া নেতাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ওই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ফুল্লরা মণ্ডল। তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে ফুল্লরা এখন রয়েছেন ঝাড়গ্রামে।
মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বিশেষ আদালতে নেতাই মামলার বিচারের দিন ছিল। আদালতে ফুল্লরা হাজিরা দেন। কিন্তু আদালতে কর্মবিরতি থাকায় শুনানি হয়নি। ৩০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএমের শিবির থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার ফুল্লরা বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালতে বিচারধীন। তাই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার আইনজীবীরা বলবেন।’’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। ওই সময় নেতাইয়ের সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাঠের বাড়ি থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তার জেরে নয় জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ২৮ জন। ওই কাণ্ডে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। গ্রেফতার হয়েছিলেন ১২ জন। তাঁদের অন্যতম ফুল্লরা। গত ২৬ অগস্ট জামিন পেয়েছেন তিনি। নেতাইয়ের মণ্ডলপাড়ায় থাকতেন তিনি। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে আপাতত তিনি রয়েছেন ঝাড়গ্রামে, সিপিএমের দলীয় দফতরে।